Thursday, September 19, 2013

ইতিহাসে শেখ হাসিনা ও নতুন প্রজন্মের মেরুদন্ড -স্বদেশ রায়


ইতিহাস শেখ হাসিনাকে আর কোন মতেই ছোট দাগে রাখতে পারবে না। যত সংক্ষিপ্ত আকারে বাংলাদেশের ইতিহাসের বড় ক্যানভাস ধরে রাখা হোক না কেন সেখানে শেখ হাসিনার জন্য বরাদ্দ স্থান একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ ছাড়া আর সকলের থেকে বেশি থাকবে। কারণ, বাংলাদেশে প্রতি বিপ্লবের মাধ্যমে যে বিচারহীনতা ও আইনের শাসনকে উপেক্ষা করার যুগ সৃষ্টি হয়েছিল সেই সংস্কৃতি থেকে দেশকে বের করার জন্যে তার অবদান অসীম। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর এই রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে সংগঠিত অপরাধকারীরা বিচারের আওতার বাইরে চলে যায়। অর্থাৎ ১৯৭৫ এ যারা নির্বাচিত রাষ্ট্র প্রধানকে সপরিবারে হত্যা করে তাদের তথাকথিত আইনের দ্বারা বিচারের উর্ধে রাখা হয়। অন্যদিকে যারা ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, স্বাধীনতাকামী মানুষ হত্যা করেই যারা ক্ষান্ত হয়নি, নারীর শ্লীলতাহানি, নারী হত্যা, শিশু হত্যা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিল তাদের মুক্তি দেয়া হয়। বিচারের বাইরে রাখা হয়। বিচারের জন্য করা কিছু আইনও সংবিধান থেকে বাদ দেয়া হয়। যার ফলে এই রাষ্ট্র স্রষ্টা ও তার শ্রেষ্ঠ সহযোগীদের হত্যাকারী ও ’৭১-এর গণহত্যাকারীরা আইনের উর্ধে চলে যায়।
কোন রাষ্ট্রে এই অবস্থা চলতে থাকার অর্থই হলো ওই রাষ্ট্রে কোন মতেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বরং দিন দিন আইন বিরুদ্ধ শক্তির আবির্ভাব ঘটতে বা সৃষ্টি হতে থাকে সে দেশে। আমরা ১৯৭৫-এর পরের বাংলাদেশের দিকে তাকলে কিন্তু সেটাই দেখতে পাই। একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। হাজার হাজার সেনাসদস্যকে জিয়াউর রহমান হত্যা করেছেন। বিমানবাহিনীর বিপুলসংখ্যক অফিসার হত্যা করে বিমানবাহিনীকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। কিন্তু ওইসব হত্যাকা-ের কিন্তু কোন বিচার হয়নি। এমনকি অনেক সেনাসদস্যর পরিবার এখনও জানে না কোথায় হারিয়ে গেছে তাদের পরিবারের মানুষটি। আর এই আইনহীনতার ধারাবাহিকতা ধরে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী তাদের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী তৈরি করার সুযোগ পায়। যারা গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্রদের রগ কাটছে। এবং অবৈধ অস্ত্রের জোরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা তার আশপাশ এলাকা দখল করে আছে। এই আইনহীনতার ধারাবাহিকতায় এই দেশ দেশী ও বিদেশী জঙ্গীদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়। ভারতীয় বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠন এখানে অবস্থান নেয়। ভারতের পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রমাণও দেয়া হয় যে, আইএসআই ওই সব জঙ্গীদের ট্রেনিং দিচ্ছে। এই আইনহীনতার ধারাবাহিকতায় এ দেশ অস্ত্র ও মাদক চোরচালানিদের রুটে পরিণত হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়, এই আইনহীনতার সুযোগ নিয়ে এখানে মৌলবাদী বা জঙ্গীদের একটি আলাদা অর্থনীতি গড়ে ওঠে। যারা এখন সমাজে ও রাষ্ট্রে বিশাল অর্থনৈতিক শক্তি। এবং এই অর্থ ব্যয় করে তারা নির্বাচনী রাজনীতিকে প্রভাবিত করে এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পর্যন্ত তারা কিনে ফেলে। যেমনটি করেছিল তারা ২০০১ সালে। ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে জঙ্গী অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল তা নিয়ে এখন আর কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়।
২০০১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার জঙ্গী অর্থের কাছে বিক্রি হয়েছিল বলে তারা একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জঙ্গী ও মৌলবাদীদের ক্ষমতায় আনে। ১৯৭১-এর গণহত্যাকারী ও ধর্ষকরা দেশের মন্ত্রী হয়। আর তারা ক্ষমতায় আসার পরে তাদের সহযোগিতায় এ দেশের বিচার বিভাগ যতটুকু ছিল সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে জঙ্গীরা। তারা বিচারালয়ে কার্যরত বিচারককে বোমা মেরে হত্যা করে। বিচারাঙ্গনে বোমাবাজি করে। দেশের সরকার প্রধানের সম্মতিতে বা জ্ঞাত সারে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা হয় দিনের বেলায়। গ্রেনেড চার্জ করে শাহ এস কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপরও গ্রেনেড হামলা হয়। এর থেকে এটা স্পষ্ট হয় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে যে বিচারহীনতা ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতির ধারা শুরু হয়, জিয়া-এরশাদের ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া সেটা বজায় রাখে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও সাজা কার্যকর, ১৯৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচারের প্রক্রিয়া ধারাবাহিকতা রেখে ও একজনের বিচারের চূড়ান্ত রায়ের ভেতর দিয়ে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেনÑ তিনি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কালচার শুরু করেছেন। এই কালচার যে তিনি শুরু করবেন সেটা তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। তিনি শত প্রতিকূলতাকে কঠিনভাবে মোকাবেলা করে সেই কাজ করছেন এবং তিনি কতটা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করছেন সেটা দেশের মানুষকে এখন উপলব্ধি করতে হবে। কারণ, তার এই কাজের প্রতিকূলতা শুধু জামায়াত-বিএনপি ও হেফাজতীরা সৃষ্টি করছে না। এ সমাজে যারা অতি বড় মাপের মানুষ হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত তারাও কিন্তু এখন মুখোশ খুলে শেখ হাসিনার এই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এবং জঙ্গী ও ইয়াহিয়া খানের ’৭১-এর দোসরদের নেতা হিসেবে বেগম জিয়া যে কাজ করছেন, যে ভাষায় কথা বলছেন তাঁরাও, সেই কাজেই নেমে গেছেন। যেমন যেদিন কাদের মোল্লার রায় হয়েছে ওইদিন ওই রায় সম্পর্কে কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া ড. ইউনূস বা ড. কামাল হোসেন জানাননি। বরং ওইদিনই তাঁরা কয়েকজন আদর্শচ্যুত মুক্তিযোদ্ধা এবং একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এমন ব্যক্তির সন্তানদের নিয়ে- যাঁরা এখন সকলেই বিএনপি ও জামায়াতপন্থী তাঁদের নিয়ে ড. ইউনূসের একটি সংবর্ধনা সভার আযোজন করে। ওই সভায় ড. ইউনূস বলেন, ‘প্রয়োজনের জোর করে নির্দলীয় সরকার গঠন করব।’ ড. ইউনূসের এই ভাষার সঙ্গে বেগম জিয়ার ভাষার কিন্তু কোন পার্থক্য নেই। বেগম জিয়া বলেছেন, এই সরকারকে টেনে নামাব আর ড. ইউনূস বলছেন প্রয়োজনে জোর করে নির্দলীয় সরকার গঠন করব। তার অর্থ দুজনের কেউই কিন্তু আর আইন মানতে রাজি নন। কারণ দেশে আইনের শাসন থাকলে দুজনেরই অসুবিধা। বেগম জিয়ার অসুবিধা তিনি ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের প্রতি বিপ্লবের ধারাবাহিকতার নেতা। তাঁর কাজ ১৯৭১-এর ইয়াহিয়া খানের দোসরদের রক্ষা করে দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করা। অর্থাৎ দেশকে এমন একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া দরকার যাতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ কোনভাবে খুব কাছাকাছি যেতে পারে। কোন চুক্তি বা অবস্থানে যাওয়ার দায়িত্ব তিনি পালন করছেন। অন্যদিকে ড. ইউনূস এই জঙ্গীদের পক্ষে কি না সেটার কোন প্রমাণ নেই। তবে তার জন্যও দেশে আইনের শাসন থাকলে অনেক বড় সমস্যা। যেমন দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ হারিয়েছেন অনেক আগে। কিন্তু গায়ের জোরে দশ বছরের বেশি সময় ছিলেন। অন্যদিকে গ্রামীণ কমিশনের তদন্ত থেকে দেখা যাচ্ছে, তিনি গ্রামীণ টেলিকম থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের দরিদ্র সদস্যদের শেয়ারের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানে সরিয়েছেন। যেগুলোর প্রধান তিনি। তাছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পারমিশন পেয়েছে শুধু ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের। তিনি তাঁর পিতা ও ভাইদের প্রতিষ্ঠানে ৯ কোটির বেশি টাকা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত ব্যাংকের আইন মানা হয়নি। শেখ হাসিনা যেভাবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন এভাবে যদি দেশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যায় তাহলে এই ১০ হাজার কোটি টাকা ও ৯ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির জন্য ড. ইউনূসকে অবশ্যই সরকার আইনের আওতায় আনতে বাধ্য হবে এবং সেখানে কিন্তু আইন দুই রকমের হতে পারবে না। তিনি নোবেল লরিয়েট হলেও আইন কিন্তু হলমার্ক গ্রুপের মালিকের প্রতি যে আচরণ করেছে তাঁর প্রতিও একই আচরণ করবে। ড. ইউনূস খুবই প্রতিভাবান মানুষ। তাই এই সাধারণ ভবিষ্যতটুকু তিনি দেখতে পাচ্ছেন। আর এটা দেখতে পাচ্ছেন বলেই তিনি আজ ১৯৭১-এর ইয়াহিয়ার দোসরদের রক্ষাকর্তা নেতা বেগম জিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন এবং একই ভাষায় কথা বলছেন। তাই গোটা দেশ ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষ যখন কসাই কাদেরের ফাঁসির রায় হওয়াতে উল্লাস করছে সে সময় তিনি তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে দেশে আইনের শাসনকে ব্যাহত করার জন্য জামায়াত-বিএনপির পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাদের ভাষায় কথা বলছেন। আর ওই সভায় ড. কামাল হোসেন যে কথা বলেছেন সেটা কাদের সিদ্দিকী বললে মানাতো। ড. কামাল হোসেন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সামরিক জান্তাকে টেলিফোন করে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে দেশে না নিয়ে এলে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অনুষ্ঠান প্রচার হয়েছিল তাতে তিনিও মনে হয় গোলাম আযমের আগে দেশে ফিরতে পারতেন না। যাহোক, বঙ্গবন্ধু তাঁকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। তিনিও বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করেন বলে সকলে জানেন। ড. ইউনূসকে সংবর্ধনা দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা সম্পর্কে তিনি যে কথা বলেছেন, এরপরে শুধু বিস্মিত হতে হয় না বরং শেখ হাসিনার প্রতি আরও শ্রদ্ধা জন্মায় যে, তিনি যাদের অনেক আগে চিনতে পারেনÑ আমরা সেটা পারি না। শেখ হাসিনা ড. কামালকে অনেক আগেই চিনেছিলেন। যার ফলে ড. কামাল দল থেকে চলে যান। আমরা তখন খুব খুশি হয়নি। বরং মনে করেছিলাম তার মতো একজন শিক্ষিত, রুচিবান লোককে শেখ হাসিনা রাখতে পারলেন না এটা শেখ হাসিনার ব্যর্থতা। আজ একজন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাবিলদার, স্কুল সার্টিফিকেট পাস কাদের সিদ্দিকীর ভাষায় ড. কামাল কথা বলেন তখন তো বলতেই হয়, শেখ হাসিনাই সঠিক ছিলেন। ড. কামাল ওই সংবর্ধনা সভায় বলেছেন, শেখ হাসিনার মানসিক সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া করা উচিত। শেখ হাসিনা সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য প্রথমে পড়ি মতিউর রহমান রেন্টুর বইতে। তারপরে কিছুদিন ধরে কাদের সিদ্দিকীর মুখে শুনছি। এখন সেই কাতারে ড. কামাল হোসেন। মতিউর রহমান রেন্টু, কাদের সিদ্দিকী, ড. কামাল একই কাতারে। ভাবতে কষ্ট লাগে। ভাবতে কষ্ট লাগে বঙ্গবন্ধু যাকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন তিনি কি না বঙ্গবন্ধুকন্যা সম্পর্কে এই মন্তব্য করছেন।
তবে এই যে আমরা এদের চিনতে পারিনি, আমরা ড. ইউনূস, কামাল হোসেনকে দেবতার মতো শ্রদ্ধা করেছি এক সময়-এর একমাত্র কারণ মনে হয় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরে আমাদের চোখগুলো আপোস দৃষ্টি রপ্ত করে ফেলেছে। আমাদের মেরুদ-ের হাড়টি শক্ত নয়। তবে আমরা আপোসকামীরা ব্যর্থ হলেও তরুণ প্রজন্ম ব্যর্থ হবে না। তারা ব্যাংক ডাকাতকে ব্যাংক ডাকাতই বলবে, রাজাকারকে ঠিকই রাজাকার বলবে। যা দেখেছি ১৭ সেপ্টেম্বরের রাতে একাত্তর টেলিভিশনের টকশোতে। আমানুল্লাহ কবির যখন তার বহু বুদ্ধি খাটিয়ে জামায়াত ও কসাই কাদেরকে সমর্থন করে যাচ্ছিলেন এবং গণজাগরণ মঞ্চকে নিয়ে অনেকটা বেগম জিয়ার ভাষাকে শালীন ভাষায় রূপান্তরিত করে কথা বলছিলেন সে সময়ে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী মারুফ রসুল স্পষ্ট বলে দেন, ‘আমানুল্লাহ কবির মেরুদ- সোজা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়াতে পারেনি সেটা তার ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা শেখ হাসিনার নয়, গণজাগরণ মঞ্চেরও নয়।’ মারুফ রসুলের সোজা ও নির্ভীক সত্য উচ্চারণের ফলে অনুষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যান আমানুল্লা কবির।
বাস্তবে তাই আশা জাগে যতই বাধা আসুক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর এই তরুণ প্রজম্মের মেরুদন্ডের জোরেই বাংলাদেশ রাহু মুক্ত হবে। এবং মারুফ রসুল যে কাজ করেছে এই কাজ এখন প্রতিটি স্বাধীনতার স্বপক্ষ বাঙালির দায়িত্ব। কারণ শুধু কসাই কাদের মোল্লাকে ফাসি দিলে হবে না। সামাজিক অবস্থান থেকেও তাড়াতে হবে ছদ্মাবরনে থাকা রাজাকার ও আলবদরদেরকে। মেরুদন্ড সোজা করে রুখে দাড়ালেই ওরা পালিয়ে যাবে। কারণ রবীন্দ্রনাথের কথা থেকে ধার নিয়ে বলা যায়, যে অন্যায় সে তোমার থেকে ভীরু। একবার সাহস করে রুখে দাঁড়ালেই সে পালিয়ে যাবে। 

Tuesday, September 17, 2013

Summary of PPR-2008 (portions required for STEP sub projects only)


Colonialism, politics of language and partition of Bengal -Part 1

Nurul Kabir

I do not know whether or not a political Pakistan will emerge in India, but what I am sure about is, given the way writers of the Hindu community and the education department have been ignoring the use of the spoken language of the Muslim majority community of Bengal in their literary works and textbooks, a literary Pakistan will be created in Bengal.
Abul Mansur Ahmed (1898–1978)
[T]he people of eastern and western Bengal did not belong to the same stock and the people of western Bengal, who could not rise above the influence of the Sanskrit language, ridiculed the dialect, accent and customs of the people of eastern Bengal, who also returned the compliments in the same terms.
Kamruddin Ahmad
Bankim Chandra Chattayapadhya is perhaps mainly responsible for the partition of Bengal.
Ahmed Sofa (1943–2004)
THE British colonialist politics of partitioning India in 1947 also partitioned Bengal—and that too—on religious communal line. In the process, East Bengal, a Muslim majority area within Bengal, got included in the Muslim-dominated Pakistan, while West Bengal, the Hindu majority region of Bengal, became part of the Hindu-majority India.
Here, again, along with political, economic and religious reasons, the language, Bangla language in the present case, its different varieties spoken and written in East and West Bengals, domination of Sanskrit and words of Sanskrit origin in the works of the Hindu authors and that of Arabic and Persian words in the works of the Muslim ones, even the different contents of literary works produced by the Hindu and Muslim litterateurs of Bengal, substantially contributed to the political partition of the Bangla-speaking region on communal lines. In fact, the linguistic and literary division among the Muslim and Hindu populaces of Bengal had taken place much before the region faced politico-geographical bifurcation in communal direction in 1947. In that sense, the political division of Bengal just followed its linguistic and literary division.
Notably, Bengal, which was divided by the British colonial regime, came into political existence during the Muslim rule in the 13th century. Durgachandra Sanyal, a social historian of Bengal, rightly points out that the entire Bengal of the day did not came into political existence as one country during the pre-Muslim Hindu rule. He says: ‘The [pre-Muslim] Hindu kings of Gowda gradually occupied and established control over five kingdoms of the region — Borendrabhumi, Banga, Mithila, Rar and Bakdip or Bagdi. They used to be called those days penta-kingdoms of the Gauda. Subsequently, the Muslim rulers occupied the penta-kingdoms. Then they incorporated Mithila into Magadha and named it Sube-Bihar; and they combined the rest four kingdoms into one and gave it the name of Sube-Bangala. The nomenclature of Bangala Desh has derived from the word Bangala of Sube Bangala. Then the areas on the northern and eastern frontiers that came under the control of the Muslim rulers had been inducted into Bangala Desh. Thus, Bangala Desh has become a vast country.’ [Durgachandra Sanyal, Bangalar Samajik Itihas (Social History of Bangla), Model Publishing House, Kolkata, 1410 (Bangla calendar), (2003 Gregorian calendar), p 18] The Britishers have called this Bangala Desh, Bengal.

Colonialism, communalism and division of Bengal
THE partition of Bengal in 1947 was an obvious result of the divisive politics of partitioning India on religious lines, sponsored by the colonialist British regimes and their local collaborators, particularly the Kolkata-based Hindu landed gentry that came to be known as the bhadralok class, born out of the Permanent Settlement of Lands, popularly known as the zamindary system, introduced in Bengal by Lord Cornwallis in 1793.
Some of the prominent Muslim politicians of the Bengal Muslim League, such as Abul Hashim and Huseyn Shaheed Suhrawardy, both from West Bengal, made efforts with some leaders of the Bengal Congress, such as Sarat Chandra Bose and Kiron Shankor Roy, to keep the province united as a sovereign state. But the high command of the Indian National Congress and the Hindu Mahasabha appeared bent on the division that jeopardised the unity efforts. The Bengal Congress actively opposed the move for keeping Bengal united, independently or within either of the dominions of India and Pakistan. The leaders of the Bengal Muslim League, particularly those hailing from East Bengal, did not appear politically enthusiastic about the anti-partition move either.
However, along with political and economic factors, the language, in the present case Bangla, which was communalised by the colonial European linguists and grammarians much earlier, and accepted and practised by many a Hindu literary genius, stood in the way of the emerging Muslim educated middle class of East Bengal not to put up any active political resistance against the partition of Bengal on religious line.
The partition of Bengal in August 1947 was, in fact, the second of the kind; the first one took place on October 16, 1905, which was eventually annulled on August 20, 1911. The first partition was undone in the face of massive political resistances organised by the Kolkata-based Hindu elite. Ironically, similar resistances organised by the Kolkata-based Hindu elite also ensured the second partition. Both the times, the purpose was the same: Resisting the possibility of communalistic political, economic and cultural dominance of the Hindu elite over the Muslims of Bengal.
Abul Hashim of the erstwhile Bengal Muslim League, one of those well-meaning politicians who unsuccessfully tried to prevent the division of Bengal, writes in his memoirs that the ‘united movement of the [Indian National] Congress and the [Hindu] Mahasabha for partition of Bengal greatly influenced the Hindus of West Bengal and the Calcutta dailies supported the movement.’ [Abul Hashim, In Retrospect, Bangladesh Book Co-operative Society Ltd, Chittagong, Second edition, 1988, p 156]
Joya Chatterji, an India historian from West Bengal, also writes that ‘a large number of Hindus of Bengal, backed up by the provincial branches of the Congress and the Hindu Mahasabha, campaigned intensively in 1947 for the partition of Bengal and for the creation of a separate Hindu province that would remain inside an Indian union.’ [Joya Chatterji, Bengal Divided: Hindu Communalism and Partition: 1932-1945, Cambridge University Press, New Delhi, 1996, p 227]
It was not very easy to convince a big section of the Hindus to fight for dividing Bengal on communal lines in the 1940s, because many of them had fought for the annulment of the partition in the first decade of the century on ‘patriotic’ grounds. The communalist Hindu leaders, therefore, redefined ‘patriotism’. NC Chatterjee, a leader of the Mahasabha, told the Bengal Provincial Hindu Conference held at Tarakeswar in the Hoogli district of West Bengal on April 4, 1947: ‘It is not patriotism to repeat old slogans and to be slaves of catchwords. The most glorious chapter in the history of Bengal is the agitation against the Partition imposed by British Imperialism…But we shall be guilty of treason to the motherland if we merely quote old slogans without understanding their implications. The Anti-Partition movement in the Swadeshi days was a fight against Imperialism, which wanted to cripple the greatest nationalist force working for the Independence of the country by making the Bengal Hindus minorities in both the provinces. Our demand for partition today is… to prevent the disintegration of the nationalist element and to preserve Bengal’s culture and to secure a Homeland for the Hindus of Bengal which will constitute a National State as a part of India.’ [NC Chatterjee is cited in Joya Chatterji, ibid, p 241] For the Bengali Hindu elite in question, the duty to preserve ‘Bengal’s culture’ clearly meant the culture of the Hindus alone and ‘National State’ meant a state solely of the Hindus. They, therefore, projected it to be a ‘patriotic duty’ of the Bengali Hindus to fight for the partition of Bengal in 1947.
As to why, then, it was the duty of the Bengali Hindus to divide Bengal now, in 1947, NC Chatterjee argued: ‘Our demand for partition today is prompted by the same ideal and the same purpose, namely to prevent the disintegration of nationalist element and to preserve Bengal’s culture and to secure a Homeland for the Hindus of Bengal which will constitute a National State as a part of India.’ [ibid]
Originally, the British colonial forces contemplated the division of India before they left the subcontinent. The Congress and the Muslim League, although fighting for a bigger share of power on communal lines for years, did not initially agreed to the idea of the partition. Abul Hashim writes that ‘the British scheme for partition of India’ was first ‘suggested through [Chakravarti] Rajagopal Achariya, which was rejected by the Congress and the Muslim League.’ [Abul Hashim, op-cit, pp 155-156] However, when Rajagopal Achariya [Rajagopal Achariya is also spelt by different authors as Rajgopalachari. Rajagopal Achariya or Rajgopalachari was the Minister for Industries and Supplies in the Interim Government of India in 1946, Governor of East Bengal after independence of India on August 15, 1947, and Governor-General of India after Mountbatten quit the job in June 1948] argued in 1944 that the ‘Congress should accept a Pakistan comprising only the Muslim majority districts’, Joya Chatterji writes, ‘a handful of Calcutta Hindus had welcomed the proposal. Implicit in the Rajagopalachari Formula was the partition of the Punjab and Bengal.’ [Joya Chatterji, op-cit, p 231]
Later, in February 1947, ‘Lord Mountbatten prevailed upon Dr. Shyama Prasad Mukharjee [of the Hindu Mahasabha] and Sarder Ballav Bhai Patel [of the Congress] and set afoot his diplomatic activities for creating conditions favourable to partition of Bengal and the Punjab and to implement the British plan of Partition of India.’ [Abul Hashim, op-cit, p 155]
Shyama Prasad, after meeting the governor of Bengal, Sir Frederick Burrows, on February 22, 1947, made a public statement the next day ‘demanding partition of Bengal on communal basis.’ The erstwhile president of the Indian National Congress, Acharya Kripalini, publicly supported the Hindu Mahasabha demand. Mohanchand Karamchand Gandhi, who would eventually support the partition of Bengal, however, ‘remarked’ in February 1947 that ‘if Bengal was partitioned the communal problem would be a lasting feature of Eastern India.’ [Mohammad HR Talukder (ed.), Memoirs of Huseyn Shaheed Suhrawardy with a Brief Account of His Life and Work, University Press Limited, Dhaka, 1987, p 29]
Nevertheless, both the Congress and the Mahasabha resorted to mobilise supports of the Bengali Hindus to back the British colonial plan for dividing Bengal on religious communal line. In May 1947, the two parties ‘jointly convened a mammoth public meeting in Calcutta to press for partition [of Bengal], which was presided over by the historian Sir Jadunath Sarkar.’ [Joya Chatterji, op-cit, p 250]
It was primarily the Kolkata-based Hindu elite, the ‘bhadralok class’ in other words, that formed ‘the backbone the movement’ for the Partition of Bengal, which was governed by the Muslim League at the time. The elite in question had specific political and economic interests in the partition. In this regard, Joya Chatterji writes: ‘Frustrated by their loss of power in bhadrolok politics, shaken by the rapid collapse of the zamindary system, bhadralok groups had begun to devote their energies to the defence of their traditional privileges, moving away from the mainstream of nationalist politics in the process. Partition promised, in some measure, to restore their political hold over those parts of the province in which Hindus were in a numerical majority. It was in these areas that the prospects and experience of ‘Muslim rule’ had caused the fiercest resentment and it was here that the partition movement found its strongest support.’ [ibid. p 253]
As regards the economic interests of the Hindu bhadralok caste, Chatterjii notes: ‘There was strong calculation of economic self-interest in this campaign, which was not only well orchestrated but also well funded. Businessmen, whether Bengalis or outsiders, in Calcutta and up country, played a prominent role in organizing the campaign [for the partition of Bengal]’ [ibid, p 254] Referring to a news report published in the Kolkata-based The Statesman on May 1, 1947, Harun-or-Rashid writes: ‘At a representative meeting of various industrial and commercial organisations of Bengali and non-Bengali Hindus in Calcutta, a resolution was passed supporting the demand for separate West Bengal province. An influential committee was formed including, among others, Birla, Goenka, Jalan, Driver and Nalini Ranjan Sarker in order to realize the objective.’ [Harun-or-Rashid, The Foreshadowing of Bangladesh: Muslim League and Muslim Politics: 1906-1947, Revised and enlarged edition, Second impression, 2012, The University Press Limited, Dhaka, p 259]
Besides, the ‘Marwari traders from all over the province sent petitions to the all India Congress Committee’, claiming that ‘business in Bengal under Muslim League ministry was absolutely crippled’ and therefore they were ‘wholehearted in their support of the move to partition Bengal.’ The trade bodies that signed such petitions included the Bengal National Chamber of Commerce, the Eastern Chamber of Commerce, the All-Bengal Traders and Consumers Association, et cetera — all dominated by non-Muslim businessmen. [See footnote number 91 in Joya Chatterji, op-cit, p 254]


সিরিয়ায় চলমান সমস্যা প্রসঙ্গে

মোহাম্মদ জমির
গত কয়েকদিনে সিরিয়ায় যুদ্ধ বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা পরিস্থিতি বেশ অগ্রগতি হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে আগস্টের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘের রাসায়নিক অস্ত্র তদন্ত কমিটির সিরিয়া থেকে প্রস্থানের মাধ্যমে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের দায়ে অভিযুক্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার মানসিকতা দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সিরিয়ায় বেসামরিক গণহত্যার ব্যাপারে সারাবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৃথকীকরণের ব্যাপারে বড় ধরনের জটিলতার ইঙ্গিত দেয়। সিরিয়া বিষয়ে আন্তর্জাতিক বৈঠক হওয়ার যে প্রত্যাশা ছিল তা হয়নি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন সশস্ত্র হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে তার পূর্ব সমর্থন পুনরায় বিবেচনা করেছেন। সিরিয়া শাসনের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সকল শাস্তিমূলক কার্যক্রমের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রত্যাখ্যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ব্যাপারে পুনরায় ভাবতে বাধ্য করেছে। জার্মানী ও কানাডা সামরিক হামলা থেকে বিরত থাকায় সমাধানটি আরো সহজ করে দিয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের অধিকাংশই ওবামা কর্তৃক কোনো নির্বাহী আদেশের পূর্বে তারা তাদের মত প্রকাশের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন চায়। কমান্ডার-ইন চীফ হিসেবে বারাক ওবামা কংগ্রেসের অংশগ্রহণ ছাড়াই যেকোন সামরিক হামলা পরিচালনার সাংবিধানিক ক্ষমতা রাখেন; কিন্তু তিনি দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করেছেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন, আমেরিকার জনগণ এখন "যুদ্ধ-ক্লান্ত" এবং তারা তার কাছে "নিজ জাতি গঠনে" বেশি মনযোগ আশা করছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্টার যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সিরিয়ায় একতরফা সশস্ত্র হামলার ব্যাপারে সতর্কবাণী দিয়েছেন।

৯ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের পুনর্মিলনে প্রেসিডেন্ট ওবামা কংগ্রেসীয় ক্ষমতায়নের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলেন। এরপর থেকে ঘটনা তার আপনগতিতেই চলছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরির সাংবাদিকদের দেয়া এক বিবৃতির মধ্যে বিশেষজ্ঞরা শান্তির সম্ভাবনা দেখতে পান। তিনি বলেন, যদি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ সব ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র হস্তান্তর করে তাহলে সামরিক হামলার কোন প্রয়োজন নেই। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জে ল্যাভরভের কার্যকরী পরামর্শ মস্কোতে অবস্থানরত সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মোয়াল্লেমকে দারুণ প্রভাবিত করেছে। তিনি সদ্য সমাপ্ত জি-২০ সম্মেলন সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনার জন্য এসেছিলেন। ল্যাভরভ বিশ্বাস করেন, "শুধু রাসায়নিক অস্ত্রসমূহ আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে হস্তান্তর করা নয়, বরং তাদের পরবর্তী ধ্বংস কার্যকলাপের ব্যাপারে যেন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সে ব্যাপারে মোয়াল্লেমকে পরামর্শ দেন। তিনি মোয়াল্লেমকে বলেন, সিরিয়ার এখন সম্পূর্ণভাবে রাসায়নিক অস্ত্র সংক্রান্ত কনভেনশনে যোগদান করা প্রয়োজন । জবাবে মোয়াল্লেম দোভাষীর সাহায্যে সাংবাদিকদের জানান, সিরিয়া এপদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং "তার দেশের জনগণকে আমেরিকার আগ্রাসন থেকে রক্ষা করার প্রবৃত্তি" দেখানোর জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান।

ওয়াশিংটন-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, ওবামা সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র হস্তান্তরের ক্ষেত্রে রাশিয়ার কূটনৈতিক প্রস্তাবটি বিবেচনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, যদি সিরিয়া তার সব রাসায়নিক অস্ত্রসমূহ আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে হস্তান্তর করে তবে সিরিয়াতে সামরিক হামলার প্রয়োজন পড়বে না। আসলে কী ধরনের ও মানের রাসায়নিক এবং কোথায় আছে সে ব্যাপারে যাতে সিরিয়া সরকার সঠিক তথ্য দেয় এবিষয়ে ওবামা সংশয় প্রকাশ করেছেন। এসব তথ্য জাতিসংঘ পরিদর্শক কর্তৃক যাচাই করার একটি ঘোষণাও তিনি দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন দেখা দেয় যে, জাতিসংঘ কাজটি করার সময় সিজফায়ার করার সংকেত বা নির্দেশ ব্যবহার করতে দেয়া হবে কী না? ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে একে সমর্থন জানিয়েছে এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বান কি মুন সিরিয়ায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে জায়গা নির্ধারণ করতে আহ্বান জানান, তিনি বলেন, "সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রসমূহ দ্রুত হস্তান্তরের জন্য আমি নিরাপত্তা পরিষদকে সুপারিশ করেছি এবং রাসায়নিকসমূহ সিরিয়ার অভ্যন্তরে নিরাপদে মজুদ করে ধ্বংস করে ফেলা হোক"। তিনি আশা করেন, এর মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদের "অস্বস্তিকর পক্ষাঘাতগ্রস্ততা" কাটবে।

ওবামা সি এন এন-এর এক প্রশ্নের জবাবে রাশিয়ার উদ্যোগকে "সম্ভাব্যরূপে ইতিবাচক উন্নয়ন" বলে অভিমত দেন। এন বি সি তে বলেন, এটি একটি "উল্লেখযোগ্য সাফল্য"। তিনি পি বি এস কে আরো বলেন, আমি কেরিকে রাশিয়ার সাথে সরাসরি বৈঠকে বসতে বলেছি এবং আমরা আমাদের সব ধরনের কূটনৈতিক বিষয়াবলী প্রয়োগ করব। আমরা জানি গত কয়েকদিন কেরি এবং লেভরভের মধ্যে জেনেভায় এ সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছে এবং দুই দলই এ সমস্যার ব্যাপারে কিছুটা অগ্রসর হতে পেরেছে। এমন একটি ফর্মূলা দরকার যাতে আন্তর্জাতিক সমাজে "যাচাইকৃত ও প্রয়োগযোগ্য নির্মাণকৌশলের মাধ্যমে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপারটি সমাধান করা যায় এবং আমি সবসময় এর পক্ষপাতি"। 

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলেন্ডে, যিনি ইরাক যুদ্ধের ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি বলেন, ওবামা মূলত স্পষ্টভাবে সামরিক হস্তক্ষেপকেই সমর্থন করেছেন। এটি সিরিয়া বিরোধীদের আরো সমস্যায় ফেলেছে এবং আসাদ কর্তৃক ২১ আগস্ট-এর রাসায়নিক হামলার বিরুদ্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ এসেছে। এর মধ্যে জাতিসংঘ পরিদর্শকরা নেদারল্যান্ডে রাসায়নিক সমরাস্ত্রের তদন্তে বিভিন্ন সাইটে নমুনগুলো নিয়ে তারা বিশ্লেষণ করেছেন। নমুনাগুলো ইউরোপের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। তদন্ত পরিচালনাকারী সংস্থা জানায়, সম্পূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এর প্রতিটি বিষয় তদন্ত কাজকে ত্বরান্বিত করছে। ইতিমধ্যে গতকাল তদন্তকারী সদস্যরা বান কি মুনের নিকট একটি অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট জমা দিয়েছে। 

সিরিয়া সরকার হামলার দায় অস্বীকার করে বর্বরতার জন্য বিদ্রোহীদের দোষী করছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, তার দেশের বিরুদ্ধে যে কোন পশ্চিমা "আগ্রাসন" প্রতিহত করা হবে; কিন্তু রাশিয়া, সিরিয়া আসলেই বিদ্রোহীদের উপর রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে মর্মে জাতিসংঘের প্রমাণের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। পুটিন স্পষ্ট বলেছেন, সিরিয়া সরকার এ ধরনের হামলার মাধ্যমে বিরোধীদের খেপানোটা সম্ভবপর নয় কারণ তাহলে এটা হবে "চরম বোকামির" দৃষ্টান্ত। এটা অবশ্যই বলতে হয়, সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মৈত্রী রাশিয়া আগেও সতর্ক করেছে যে "জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে পাশ কাটিয়ে যেকোন এক তরফা সামরিক হামলা" মূলত "সরাসরি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন"। পশ্চিমাদেরকে পুনরায় বলা হয়েছে, পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যে, তাদের বর্তমান অবস্থান জাতিসংঘের আগের অবস্থানের সঙ্গে এখনও এক। ইহা উল্লেখ্য যে পূর্বে জাতিসংঘে সিরিয়ার দুইটি খসড়া সিদ্ধান্তে চীনসহ রাশিয়া, মস্কো ভেটো প্রদান করে। বিশেষত চীন মন্তব্য করে, সিরিয়াতে কোন হামলা হলে তা হবে "বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন" এবং বিশ্বের এটা স্মরণ করা উচিত যে, ইরাকে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল মূলত অস্ত্রের অভিযোগে যেটা কীনা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। 

তুর্কী ও জর্দানে বর্তমানে প্রায় দশ লক্ষ সিরিয় শরণার্থী অবস্থান করছে। এক লক্ষের অধিক সিরিয়ার নাগরিক এই গৃহযুদ্ধে মারা গেছে। এর ফলে তাদের নিজেদের দেশে চাপ বাড়ছে। এক ন্যক্কারজনক পরিস্থিতিতে একমাত্র লাভবান হচ্ছে ইসরায়েল। সবার দুশ্চিন্তার বিস্ময় হলো- ফ্রান্স কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কেউই জানে না রাসায়নিক অস্ত্রগুলো সিরিয়ার কোন অঞ্চলে মজুদ রয়েছে। এতে হামলা ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ফলে বেসামরিক লোকজনই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মারাত্মকভাবে।

বর্তমান সহিংসতার ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে এখন সৌদি আরব ও আল কায়েদা সমর্থিত সুন্নীগোষ্ঠীরা ও অন্যদিকে আছে সিয়া ও হিজবুল্লাহ সমর্থিত দলগুলো। আসাদ সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, সিরিয়াতে কোন হামলার অর্থ আল কায়েদা ও এর সদস্যদের সমর্থন দেয়া। যেখানে সিরিয়া এবং ইরাক দুইটি ইসলামী রাষ্ট্র। এক্ষেত্রে পশ্চিমা সন্ত্রাসবাদের কল্পরাজ্য ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান, সিরিয়া পদক্ষেপ নিবে। রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ যে কোন রাসায়নিক হামলার বিরুদ্ধে। এছাড়াও সচেতন সদস্যদের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে বেসামরিক লোকজন অহেতুক ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে।

ভাষান্তর : আকলিমা জান্নাত আরজু

লেখক :সাবেক রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক

The proposed Education Act


Under the light of the national Education Policy 2010, the draft of the country’s first Education Act 2013 has been readied. Many believe that the act would come handy in controlling and elimination the different types of indiscipline and irregularities in the sector. The mass public is not very happy about the way this service sector has been commercialised.
This proposed law is being welcomes by all, although they believe that even though the education ministry had previously announced some of the clauses of the draft policy in action, if has failed to implement it properly. However, it can be said that something is better than nothing. It is being hoped that once this draft is turned into a law, problems in the sector will gradually ease up.
Therefore, the respective authorities deserve an applause for such an initiative. The 25-page Education Act draft consists of 65 clauses. Even though most agree with the most clauses of the draft, there have been many objections from the education sector representatives on some vital clauses. Apart from that, both government and private teachers have united against these clauses now raises doubt on whether the draft will be passed as a law without dropping or amending the respective clause.
The clauses in question emphasize on teacher’s punishment, closure of coaching business and tuition fees for schools as set by the government. The draft law proposes jail or punishment for teachers for using corporal punishment on students of any educational institution. Guardians have mixed views on this issue. Many believe that punishment from a teacher is essential to make children disciplined, but do not believe that teachers should cross their line in punishment.
At the same time, without giving teachers the scope of a minimum wage rate and self-evaluation, putting a clause for wage cut through a summary trial for punishing teachers is also not acceptable. We also have problems with such clauses that are conflicting with the status and rights of teachers as of 1966 and 1997 UNESCO-ILO Guidelines. Another clause of the draft law, . Clause 23(3) suggests that all educational institutes, including English medium schools, will have to approve their tuition and other fees from the government or a respective authority.
There is also a clause for a jail term for any irregularity in this regard. There should not be any reason to object this clause. Effective and logical measures are needed to check the irregularities and indiscipline in this sector. The draft also plans to eradicate coaching and private tuition business in the country. This can only happen after ensuring a proper and logical pay scale for teachers. It has to be kept in mind that for a section of immoral teachers, the reputation and the respect of the entire profession is now being eaten up