অভিনব ঘটনাই বটে!
বাংলাদেশে নিত্যদিনই কোন না কোন অভিনব ঘটনা ঘটে! এ সকল অভিনব ঘটনা যদি কালে-ভদ্রে ঘটিত তাহা হইলেও লোকেরা মনকে খানিক প্রবোধ দিতে পারিত। কিন্তু এখানে ঘটনার অভিনবত্ব এমনই যে, উহা সংশ্লিষ্ট মহলকে বিচলিত না করিয়া পারে না। গত শনিবার এমনই একটি ঘটনার কথা প্রকাশিত হইয়াছে স্থানীয় একটি দৈনিকে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পাবনার ফরিদপুরে সরকার কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত একটি বেসরকারি বিদ্যালয় অবৈধভাবে দখল করিয়া লইয়াছে। শুধু দখল করিয়াই তাহারা ক্ষান্ত হয় নাই; বিদ্যালয়টিকে বন্ধ করিয়া দিয়া উহাকে গরুর গোয়ালে পরিণত করিয়াছে। অর্থাত্, রাতের আঁধারে বিদ্যালয়টি দখলের পর উন্নত জাতের এক ডজন গরু সেখানে বাঁধিয়া রাখিয়াছে। বিদ্যায়তনকে গরুর গোয়ালে পরিণত করিবার ঘটনা সম্ভবত: বিশ্বে ইহাই প্রথম। সুতরাং, এ জাতীয় অভিনবত্বের যাহারা প্রতিষ্ঠাতা, প্রণেতা বা উদ্যোক্তা তাহাদের নাম গিনিজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পাইলে আশ্চর্যান্বিত হওয়ার কিছু থাকিবে না নিশ্চয়ই! ২০০৯ সালে সংশ্লিষ্ট এলাকার তিনজন উদ্যমী যুবক জমির মালিকের নিকট হইতে ২০ শতক জমি ভাড়া লইয়া যে বিদ্যালয়ের জন্ম দিয়াছিল উহা তাহাদের নিষ্ঠা ও একাগ্রতায় অল্পদিনে অত্যন্ত সুনাম অর্জনে সমর্থ হয়। দশজন শিক্ষকের নেতৃত্বে প্রায় তিনশত ছাত্র-ছাত্রী ঐ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। এই সব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত্ সম্পর্কে সামান্যতম উত্কণ্ঠা বা চিন্তা-ভাবনা থাকিলে এ ধরনের বিবেকহীন কান্ড জমির মালিকেরা নিশ্চয়ই করিতে পারিতো না। কোথায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর কোথায় গরুর গোয়াল! মানুষ্য তৈরির পথ পরিহার করিয়া গরু তৈরির এই উদ্ভট পন্থা বিবেকসম্পন্ন মানুষ মাত্রকেই ক্ষুব্ধ না করিয়া পারিবে না। তাই তাহাদের এই আচরণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়াছে বৈকি!
অবশ্য, জমিজিরাত লইয়া নানাবিধ কাড়াকাড়ি-মারামারি আমাদের সমাজেতো লাগিয়াই রহিয়াছে। একের জমি বাহুবলে জবরদখল করিবার এক উদ্বেগজনক সংস্কৃতি চালু হইয়াছে এই দেশে। এ ক্ষেত্রে সরকারি জমি হইলেতো কোন কথাই নাই। খাস জমি অবৈধ উপায়ে দখল কিংবা জাল কাগজপত্র বা দলিলপত্র তৈরি করিয়া জমি বেদখলের মোচ্ছব চলিতে দেখা যায় তাই বিভিন্ন স্থানে। এই ধরনের হীন দুষ্কর্মে সরকারিভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নানাবিধ ইন্ধনের কথা সকলেরই জানা। রক্ষকই অনেকাংশে ভক্ষক সাজিয়া সরকারি-বেসরকারি জমি বা দালান-কোঠা আত্মসাত্ করিতেছে। ফলে মানুষের ভোগান্তির সীমা-পরিসীমা থাকিতেছে না। জমি বা ফসলকে কেন্দ্র করিয়া খুনাখুনি, উত্খাত বা বাস্তচ্যুতি, হামলা-মামলা লাগিয়াই রহিয়াছে এই দেশে।
এমতাবস্থায়, এই ধরনের অপকর্ম রোধ করিতে দেশে আইন থাকিলেও কর্তার ইচ্ছায় উহার প্রয়োগ দুঃসাধ্য হইয়া পড়ে। জমি আত্মসাত্কারীরা ছলে-বলে-কলে-কৌশলে তাহাদের কর্তৃত্ব শুধু বজায়ই রাখে না বরং পর্যায়ক্রমে এলাকায় দোর্দন্ড প্রতাপে সকলকে রক্তচক্ষু দেখাইবার লাইসেন্সও যেন লাভ করে। যুগে যুগে এই অবস্থাই চলিতেছে। সরকারি জমি বরাদ্দে নানা প্রকার অসাধুতা, বৈধ জমির অধিকার লাভ করিতে গিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে নানাভাবে লাঞ্ছিত-অপমানিত হওয়ার ঘটনা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার দুর্ভোগ ডাকিয়া আনিতেছে। ইহার প্রতিকার প্রয়োজন। আইনের কঠোর প্রয়োগ ভিন্ন এই জাতীয় দুষ্কৃতির প্রতিবিধান অসম্ভব। মানুষের লোভ-লালসা যেহেতু সুযোগ পাইলেই সকল সীমা ছাড়াইয়া যায় সেহেতু অংকুরেই ইহার বিনাশ করিতে না পারিলে জমি আত্মসাত্ বা জবর-দখলের ঘটনা ভয়াবহ রূপ লইবে নিশ্চয়ই। আজ স্কুলঘরকে গোয়াল বানানো হইতেছে। আগামীতে তাই বিশ্ববিদ্যালয় গোচারণভূমি বা ভাগাড়ে পরিণত হওয়া বিচিত্র নহে! সুতরাং, সাধু সাবধান!
অবশ্য, জমিজিরাত লইয়া নানাবিধ কাড়াকাড়ি-মারামারি আমাদের সমাজেতো লাগিয়াই রহিয়াছে। একের জমি বাহুবলে জবরদখল করিবার এক উদ্বেগজনক সংস্কৃতি চালু হইয়াছে এই দেশে। এ ক্ষেত্রে সরকারি জমি হইলেতো কোন কথাই নাই। খাস জমি অবৈধ উপায়ে দখল কিংবা জাল কাগজপত্র বা দলিলপত্র তৈরি করিয়া জমি বেদখলের মোচ্ছব চলিতে দেখা যায় তাই বিভিন্ন স্থানে। এই ধরনের হীন দুষ্কর্মে সরকারিভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নানাবিধ ইন্ধনের কথা সকলেরই জানা। রক্ষকই অনেকাংশে ভক্ষক সাজিয়া সরকারি-বেসরকারি জমি বা দালান-কোঠা আত্মসাত্ করিতেছে। ফলে মানুষের ভোগান্তির সীমা-পরিসীমা থাকিতেছে না। জমি বা ফসলকে কেন্দ্র করিয়া খুনাখুনি, উত্খাত বা বাস্তচ্যুতি, হামলা-মামলা লাগিয়াই রহিয়াছে এই দেশে।
এমতাবস্থায়, এই ধরনের অপকর্ম রোধ করিতে দেশে আইন থাকিলেও কর্তার ইচ্ছায় উহার প্রয়োগ দুঃসাধ্য হইয়া পড়ে। জমি আত্মসাত্কারীরা ছলে-বলে-কলে-কৌশলে তাহাদের কর্তৃত্ব শুধু বজায়ই রাখে না বরং পর্যায়ক্রমে এলাকায় দোর্দন্ড প্রতাপে সকলকে রক্তচক্ষু দেখাইবার লাইসেন্সও যেন লাভ করে। যুগে যুগে এই অবস্থাই চলিতেছে। সরকারি জমি বরাদ্দে নানা প্রকার অসাধুতা, বৈধ জমির অধিকার লাভ করিতে গিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে নানাভাবে লাঞ্ছিত-অপমানিত হওয়ার ঘটনা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার দুর্ভোগ ডাকিয়া আনিতেছে। ইহার প্রতিকার প্রয়োজন। আইনের কঠোর প্রয়োগ ভিন্ন এই জাতীয় দুষ্কৃতির প্রতিবিধান অসম্ভব। মানুষের লোভ-লালসা যেহেতু সুযোগ পাইলেই সকল সীমা ছাড়াইয়া যায় সেহেতু অংকুরেই ইহার বিনাশ করিতে না পারিলে জমি আত্মসাত্ বা জবর-দখলের ঘটনা ভয়াবহ রূপ লইবে নিশ্চয়ই। আজ স্কুলঘরকে গোয়াল বানানো হইতেছে। আগামীতে তাই বিশ্ববিদ্যালয় গোচারণভূমি বা ভাগাড়ে পরিণত হওয়া বিচিত্র নহে! সুতরাং, সাধু সাবধান!
No comments:
Post a Comment
Thanks for visiting.