Thursday, September 19, 2013

ইতিহাসে শেখ হাসিনা ও নতুন প্রজন্মের মেরুদন্ড -স্বদেশ রায়


ইতিহাস শেখ হাসিনাকে আর কোন মতেই ছোট দাগে রাখতে পারবে না। যত সংক্ষিপ্ত আকারে বাংলাদেশের ইতিহাসের বড় ক্যানভাস ধরে রাখা হোক না কেন সেখানে শেখ হাসিনার জন্য বরাদ্দ স্থান একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ ছাড়া আর সকলের থেকে বেশি থাকবে। কারণ, বাংলাদেশে প্রতি বিপ্লবের মাধ্যমে যে বিচারহীনতা ও আইনের শাসনকে উপেক্ষা করার যুগ সৃষ্টি হয়েছিল সেই সংস্কৃতি থেকে দেশকে বের করার জন্যে তার অবদান অসীম। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর এই রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে সংগঠিত অপরাধকারীরা বিচারের আওতার বাইরে চলে যায়। অর্থাৎ ১৯৭৫ এ যারা নির্বাচিত রাষ্ট্র প্রধানকে সপরিবারে হত্যা করে তাদের তথাকথিত আইনের দ্বারা বিচারের উর্ধে রাখা হয়। অন্যদিকে যারা ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, স্বাধীনতাকামী মানুষ হত্যা করেই যারা ক্ষান্ত হয়নি, নারীর শ্লীলতাহানি, নারী হত্যা, শিশু হত্যা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিল তাদের মুক্তি দেয়া হয়। বিচারের বাইরে রাখা হয়। বিচারের জন্য করা কিছু আইনও সংবিধান থেকে বাদ দেয়া হয়। যার ফলে এই রাষ্ট্র স্রষ্টা ও তার শ্রেষ্ঠ সহযোগীদের হত্যাকারী ও ’৭১-এর গণহত্যাকারীরা আইনের উর্ধে চলে যায়।
কোন রাষ্ট্রে এই অবস্থা চলতে থাকার অর্থই হলো ওই রাষ্ট্রে কোন মতেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বরং দিন দিন আইন বিরুদ্ধ শক্তির আবির্ভাব ঘটতে বা সৃষ্টি হতে থাকে সে দেশে। আমরা ১৯৭৫-এর পরের বাংলাদেশের দিকে তাকলে কিন্তু সেটাই দেখতে পাই। একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। হাজার হাজার সেনাসদস্যকে জিয়াউর রহমান হত্যা করেছেন। বিমানবাহিনীর বিপুলসংখ্যক অফিসার হত্যা করে বিমানবাহিনীকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। কিন্তু ওইসব হত্যাকা-ের কিন্তু কোন বিচার হয়নি। এমনকি অনেক সেনাসদস্যর পরিবার এখনও জানে না কোথায় হারিয়ে গেছে তাদের পরিবারের মানুষটি। আর এই আইনহীনতার ধারাবাহিকতা ধরে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী তাদের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী তৈরি করার সুযোগ পায়। যারা গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্রদের রগ কাটছে। এবং অবৈধ অস্ত্রের জোরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা তার আশপাশ এলাকা দখল করে আছে। এই আইনহীনতার ধারাবাহিকতায় এই দেশ দেশী ও বিদেশী জঙ্গীদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়। ভারতীয় বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠন এখানে অবস্থান নেয়। ভারতের পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রমাণও দেয়া হয় যে, আইএসআই ওই সব জঙ্গীদের ট্রেনিং দিচ্ছে। এই আইনহীনতার ধারাবাহিকতায় এ দেশ অস্ত্র ও মাদক চোরচালানিদের রুটে পরিণত হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়, এই আইনহীনতার সুযোগ নিয়ে এখানে মৌলবাদী বা জঙ্গীদের একটি আলাদা অর্থনীতি গড়ে ওঠে। যারা এখন সমাজে ও রাষ্ট্রে বিশাল অর্থনৈতিক শক্তি। এবং এই অর্থ ব্যয় করে তারা নির্বাচনী রাজনীতিকে প্রভাবিত করে এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পর্যন্ত তারা কিনে ফেলে। যেমনটি করেছিল তারা ২০০১ সালে। ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে জঙ্গী অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল তা নিয়ে এখন আর কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়।
২০০১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার জঙ্গী অর্থের কাছে বিক্রি হয়েছিল বলে তারা একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জঙ্গী ও মৌলবাদীদের ক্ষমতায় আনে। ১৯৭১-এর গণহত্যাকারী ও ধর্ষকরা দেশের মন্ত্রী হয়। আর তারা ক্ষমতায় আসার পরে তাদের সহযোগিতায় এ দেশের বিচার বিভাগ যতটুকু ছিল সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে জঙ্গীরা। তারা বিচারালয়ে কার্যরত বিচারককে বোমা মেরে হত্যা করে। বিচারাঙ্গনে বোমাবাজি করে। দেশের সরকার প্রধানের সম্মতিতে বা জ্ঞাত সারে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা হয় দিনের বেলায়। গ্রেনেড চার্জ করে শাহ এস কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপরও গ্রেনেড হামলা হয়। এর থেকে এটা স্পষ্ট হয় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে যে বিচারহীনতা ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতির ধারা শুরু হয়, জিয়া-এরশাদের ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া সেটা বজায় রাখে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও সাজা কার্যকর, ১৯৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচারের প্রক্রিয়া ধারাবাহিকতা রেখে ও একজনের বিচারের চূড়ান্ত রায়ের ভেতর দিয়ে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেনÑ তিনি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কালচার শুরু করেছেন। এই কালচার যে তিনি শুরু করবেন সেটা তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। তিনি শত প্রতিকূলতাকে কঠিনভাবে মোকাবেলা করে সেই কাজ করছেন এবং তিনি কতটা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করছেন সেটা দেশের মানুষকে এখন উপলব্ধি করতে হবে। কারণ, তার এই কাজের প্রতিকূলতা শুধু জামায়াত-বিএনপি ও হেফাজতীরা সৃষ্টি করছে না। এ সমাজে যারা অতি বড় মাপের মানুষ হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত তারাও কিন্তু এখন মুখোশ খুলে শেখ হাসিনার এই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এবং জঙ্গী ও ইয়াহিয়া খানের ’৭১-এর দোসরদের নেতা হিসেবে বেগম জিয়া যে কাজ করছেন, যে ভাষায় কথা বলছেন তাঁরাও, সেই কাজেই নেমে গেছেন। যেমন যেদিন কাদের মোল্লার রায় হয়েছে ওইদিন ওই রায় সম্পর্কে কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া ড. ইউনূস বা ড. কামাল হোসেন জানাননি। বরং ওইদিনই তাঁরা কয়েকজন আদর্শচ্যুত মুক্তিযোদ্ধা এবং একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এমন ব্যক্তির সন্তানদের নিয়ে- যাঁরা এখন সকলেই বিএনপি ও জামায়াতপন্থী তাঁদের নিয়ে ড. ইউনূসের একটি সংবর্ধনা সভার আযোজন করে। ওই সভায় ড. ইউনূস বলেন, ‘প্রয়োজনের জোর করে নির্দলীয় সরকার গঠন করব।’ ড. ইউনূসের এই ভাষার সঙ্গে বেগম জিয়ার ভাষার কিন্তু কোন পার্থক্য নেই। বেগম জিয়া বলেছেন, এই সরকারকে টেনে নামাব আর ড. ইউনূস বলছেন প্রয়োজনে জোর করে নির্দলীয় সরকার গঠন করব। তার অর্থ দুজনের কেউই কিন্তু আর আইন মানতে রাজি নন। কারণ দেশে আইনের শাসন থাকলে দুজনেরই অসুবিধা। বেগম জিয়ার অসুবিধা তিনি ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের প্রতি বিপ্লবের ধারাবাহিকতার নেতা। তাঁর কাজ ১৯৭১-এর ইয়াহিয়া খানের দোসরদের রক্ষা করে দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করা। অর্থাৎ দেশকে এমন একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া দরকার যাতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ কোনভাবে খুব কাছাকাছি যেতে পারে। কোন চুক্তি বা অবস্থানে যাওয়ার দায়িত্ব তিনি পালন করছেন। অন্যদিকে ড. ইউনূস এই জঙ্গীদের পক্ষে কি না সেটার কোন প্রমাণ নেই। তবে তার জন্যও দেশে আইনের শাসন থাকলে অনেক বড় সমস্যা। যেমন দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ হারিয়েছেন অনেক আগে। কিন্তু গায়ের জোরে দশ বছরের বেশি সময় ছিলেন। অন্যদিকে গ্রামীণ কমিশনের তদন্ত থেকে দেখা যাচ্ছে, তিনি গ্রামীণ টেলিকম থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের দরিদ্র সদস্যদের শেয়ারের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানে সরিয়েছেন। যেগুলোর প্রধান তিনি। তাছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পারমিশন পেয়েছে শুধু ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের। তিনি তাঁর পিতা ও ভাইদের প্রতিষ্ঠানে ৯ কোটির বেশি টাকা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত ব্যাংকের আইন মানা হয়নি। শেখ হাসিনা যেভাবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন এভাবে যদি দেশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যায় তাহলে এই ১০ হাজার কোটি টাকা ও ৯ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির জন্য ড. ইউনূসকে অবশ্যই সরকার আইনের আওতায় আনতে বাধ্য হবে এবং সেখানে কিন্তু আইন দুই রকমের হতে পারবে না। তিনি নোবেল লরিয়েট হলেও আইন কিন্তু হলমার্ক গ্রুপের মালিকের প্রতি যে আচরণ করেছে তাঁর প্রতিও একই আচরণ করবে। ড. ইউনূস খুবই প্রতিভাবান মানুষ। তাই এই সাধারণ ভবিষ্যতটুকু তিনি দেখতে পাচ্ছেন। আর এটা দেখতে পাচ্ছেন বলেই তিনি আজ ১৯৭১-এর ইয়াহিয়ার দোসরদের রক্ষাকর্তা নেতা বেগম জিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন এবং একই ভাষায় কথা বলছেন। তাই গোটা দেশ ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষ যখন কসাই কাদেরের ফাঁসির রায় হওয়াতে উল্লাস করছে সে সময় তিনি তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে দেশে আইনের শাসনকে ব্যাহত করার জন্য জামায়াত-বিএনপির পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাদের ভাষায় কথা বলছেন। আর ওই সভায় ড. কামাল হোসেন যে কথা বলেছেন সেটা কাদের সিদ্দিকী বললে মানাতো। ড. কামাল হোসেন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সামরিক জান্তাকে টেলিফোন করে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে দেশে না নিয়ে এলে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অনুষ্ঠান প্রচার হয়েছিল তাতে তিনিও মনে হয় গোলাম আযমের আগে দেশে ফিরতে পারতেন না। যাহোক, বঙ্গবন্ধু তাঁকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। তিনিও বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করেন বলে সকলে জানেন। ড. ইউনূসকে সংবর্ধনা দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা সম্পর্কে তিনি যে কথা বলেছেন, এরপরে শুধু বিস্মিত হতে হয় না বরং শেখ হাসিনার প্রতি আরও শ্রদ্ধা জন্মায় যে, তিনি যাদের অনেক আগে চিনতে পারেনÑ আমরা সেটা পারি না। শেখ হাসিনা ড. কামালকে অনেক আগেই চিনেছিলেন। যার ফলে ড. কামাল দল থেকে চলে যান। আমরা তখন খুব খুশি হয়নি। বরং মনে করেছিলাম তার মতো একজন শিক্ষিত, রুচিবান লোককে শেখ হাসিনা রাখতে পারলেন না এটা শেখ হাসিনার ব্যর্থতা। আজ একজন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাবিলদার, স্কুল সার্টিফিকেট পাস কাদের সিদ্দিকীর ভাষায় ড. কামাল কথা বলেন তখন তো বলতেই হয়, শেখ হাসিনাই সঠিক ছিলেন। ড. কামাল ওই সংবর্ধনা সভায় বলেছেন, শেখ হাসিনার মানসিক সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া করা উচিত। শেখ হাসিনা সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য প্রথমে পড়ি মতিউর রহমান রেন্টুর বইতে। তারপরে কিছুদিন ধরে কাদের সিদ্দিকীর মুখে শুনছি। এখন সেই কাতারে ড. কামাল হোসেন। মতিউর রহমান রেন্টু, কাদের সিদ্দিকী, ড. কামাল একই কাতারে। ভাবতে কষ্ট লাগে। ভাবতে কষ্ট লাগে বঙ্গবন্ধু যাকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন তিনি কি না বঙ্গবন্ধুকন্যা সম্পর্কে এই মন্তব্য করছেন।
তবে এই যে আমরা এদের চিনতে পারিনি, আমরা ড. ইউনূস, কামাল হোসেনকে দেবতার মতো শ্রদ্ধা করেছি এক সময়-এর একমাত্র কারণ মনে হয় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরে আমাদের চোখগুলো আপোস দৃষ্টি রপ্ত করে ফেলেছে। আমাদের মেরুদ-ের হাড়টি শক্ত নয়। তবে আমরা আপোসকামীরা ব্যর্থ হলেও তরুণ প্রজন্ম ব্যর্থ হবে না। তারা ব্যাংক ডাকাতকে ব্যাংক ডাকাতই বলবে, রাজাকারকে ঠিকই রাজাকার বলবে। যা দেখেছি ১৭ সেপ্টেম্বরের রাতে একাত্তর টেলিভিশনের টকশোতে। আমানুল্লাহ কবির যখন তার বহু বুদ্ধি খাটিয়ে জামায়াত ও কসাই কাদেরকে সমর্থন করে যাচ্ছিলেন এবং গণজাগরণ মঞ্চকে নিয়ে অনেকটা বেগম জিয়ার ভাষাকে শালীন ভাষায় রূপান্তরিত করে কথা বলছিলেন সে সময়ে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী মারুফ রসুল স্পষ্ট বলে দেন, ‘আমানুল্লাহ কবির মেরুদ- সোজা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়াতে পারেনি সেটা তার ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা শেখ হাসিনার নয়, গণজাগরণ মঞ্চেরও নয়।’ মারুফ রসুলের সোজা ও নির্ভীক সত্য উচ্চারণের ফলে অনুষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যান আমানুল্লা কবির।
বাস্তবে তাই আশা জাগে যতই বাধা আসুক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর এই তরুণ প্রজম্মের মেরুদন্ডের জোরেই বাংলাদেশ রাহু মুক্ত হবে। এবং মারুফ রসুল যে কাজ করেছে এই কাজ এখন প্রতিটি স্বাধীনতার স্বপক্ষ বাঙালির দায়িত্ব। কারণ শুধু কসাই কাদের মোল্লাকে ফাসি দিলে হবে না। সামাজিক অবস্থান থেকেও তাড়াতে হবে ছদ্মাবরনে থাকা রাজাকার ও আলবদরদেরকে। মেরুদন্ড সোজা করে রুখে দাড়ালেই ওরা পালিয়ে যাবে। কারণ রবীন্দ্রনাথের কথা থেকে ধার নিয়ে বলা যায়, যে অন্যায় সে তোমার থেকে ভীরু। একবার সাহস করে রুখে দাঁড়ালেই সে পালিয়ে যাবে। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for visiting.