“গুগল” নামটা সবারই পরিচিত। পৃথিবীর ১ নম্বর ওয়েবসার্চ +(অন্যান্য) সেবাদান কারি প্রতিষ্ঠান। এখানে একটি চাকরী পাওয়া মানে সোনার দিম পারা হাঁস হাতে পাওয়া। এমনটাই সবাই মনে করে কারন গুগল আপনার মেধার প্রকিত মূল্য দিবে। গুগল কিছুদিন আগে আরও ৭ জন বাংলাদেশিকে নিয়োগ দেবার কথা বলেছে। ইতিমধ্যে তাঁরা তিন জনের নামও প্রকাশ করেছে। এর মদ্ধে ২ জন হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইসি বিভাগের সাদিয়া নাহরিন ও সাকিব সাফায়েত এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিন্দ মজুমদার। তাঁরা সবাই গুগলে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেবেন। এটা সত্যি বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়।
আমাদের দেশে অনেক যুবক আছেন যারা অনেক ভালো মানের কাজ জানেন এবং স্বপ্ন দেখেন যে তারাও একদিন গুগলে চাকরী করবে। তাদের জন্য আজকের এই পোষ্ট। যদি সত্যি আপনি মনস্থির করে রাখেন যে, আপনি গুগলে চাকরী করবেন তবে আপনাকে যে কাজগুলো অবশ্যই ভালো করে জানতে হবে।
আসুন জানি বিস্তারিত-
গুগল বিশ্বের সেই প্রতিষ্ঠানগুলো একটি যারা যোগ্য মানুষকে যথাযথ পারিশ্রমিক দিকে কার্পণ্য করে না। গুগলের ইঞ্জিনিয়াররা একানকার তারকা কর্মী। এ প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নরা ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার ডলার বেতনে চাকরি শুরু করেন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ১ লাখ ১৮ হাজার ডলার থেকে শুরু। এরা সিনিয়র হলেই বেতনের কাঠামো দেড় লাখ ডলার ছাড়িয়ে যায়। প্রতিবছর ২৫ লাখ চাকরির দরখাস্ত পায় গুগল। এদের মধ্য থেকে চাকরি লাভ করেন মাত্র ৪ হাজার। আপনি নিজেও সেখানে চাকরিপ্রার্থী হতে পারেন। যদি সংশ্লিষ্ট বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার হয়ে থাকেন, তবে সেখানে ৮০ লাখ টাকা বেতনের চাকরি পেতে হলে আপনার কয়েকটি বিষয় শিখতে হবে। এগুলো জেনে নিন।
১. কোড করতে পারা : যেকোনো একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কেন্দ্রিক কোড শিখুন। যেমন- সি প্লাস প্লাস, জাভা অথা পাইথন। যদি তিনটি শেখা সম্ভব না হয় তবে যেকোনো একটি তে মাহির হবার চেষ্টা করুন।
২. নিজের কোড পরীক্ষার সামর্থ্য : তবে কোড করা শেখাটাই যথেষ্ট নয়। নিজে যে কোডটি তৈরি করেছেন তা পরীক্ষা করে দেখার দক্ষতা থাকতে হবে। আপনার করা কোডিং এ কোন বাগ আছে কিনা সেটি খুঁজে বের করা, কোডিং এর ওপরে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালানো। সফটওয়্যার কিভাবে বদলে ফেলা যায় সে পদ্ধতিও আপনাকে জানতে হবে।
৩. অ্যাবস্ট্র্যাক্ট গণিতের কিছু শিক্ষা অর্জন : এ বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান থাকতে হবে। এর মাধ্যমে যৌক্তিক কারণ খুঁজে বের করা এবং গণিতের ধারাবাহিকতা জানতে পারবেন আপনি।
৪. অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে জানা : আনকে অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখতে হবে, যেমন উইন্ডোজ, ম্যাক, উবন্টু ইত্যাদি। তবে আপনার যে কাজে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে, বা আপনি যেটি করতে সবথেকে বেশী পছন্দ করেন তার ওপরই জোর দেবে গুগল।
৫. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে জ্ঞান : আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমতা সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা জরুরি। আর এ বিষয়ে নিজের কর্মীদের মোটামুটি জ্ঞানী দেখত চায় গুগল। মনে রাখবেন গুগল কিন্তু রোবট অনেক ভালোবাসে।
৬. অ্যালগোরিদম এবং ডেটা সোর্স বোঝা : স্ট্যাকস, কিউই, ব্যাগসসহ কুইকসোর্ট, মার্জমোর্ট এবং হিপসোর্ট এর মতো সর্টিং অ্যালগোরিদম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
৭. ক্রিপ্টোলজি জানা : এ সম্পর্কে ব্যাক জ্ঞান থাকা জরুরি। কারণ সাইবার নিরাপত্তা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
৮. কম্পিলারস গঠন শেখা : আপনি যখন এটি শিখবেন, তখন মানুষের জন্যে উচ্চমানের ভাষা ডিজাইন করতে পারবেন। যন্ত্রের জন্যে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রোগ্রামের ভাষা পদ্ধতিগতভাবে গঠন করতে পারবেন।
৯. প্যারালাল প্রোগ্রামিং জানা : আপনাকে আরো শিখতে হবে প্যারালাল প্রোগ্রামিং। কম্পিউটারে একযোগে কয়েক টন তথ্যের কাজ করতে শেখা খুবই জরুরি।
তবে আজকে থেকে শুরু হয়ে যাক আপনার শেখা। চেষ্টা করুন আপনিও পারবেন যদি আপনার দৃঢ় মনোবল থাকে তবে। গুগল তাদের ইন্টার্ন লেভেলের ইঞ্জিয়ারদের বেতন ধরে বার্ষিক ৮০ হাজার ডলার আর পার্মানেন্ট হবার পরে আপনার বেতন হবে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ডলার। কি সুনে নিশ্চয় আপনার চোখ বড় বড় হয়ে গেছে। জি এইটা সত্যি কথা। এটি গুগলের শুরুর দিককার বেতন পরে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আপনার বেতন আরও অনেক বাড়বে।
বাংলাদেশের ক্ষুদে ইঞ্জিনারদের অগ্রিম শুভ কামনা দিয়ে আজকের মতো শেষ করলাম আশা করি পরবর্তীতে আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।