"রাষ্ট্রীয় পণ্যের ব্যবহার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম করবে"
রুবেল হাওলাদার
বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র। আমাদেরও রয়েছে সোনালি ঐতিহ্য ও সম্ভাবনা। তাহলে আমরা কেন বিদেশি সংস্কৃতিসহ নানা বিষয় ধার করবো? হ্যাঁ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে বিদেশিদের অনেক বিষয় আমাদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। পড়তে পারে। বিদেশিদের কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন বিষয় নেব। এগুলো হতে পারে, সংস্কৃতি, শিক্ষা, চিকিত্সা প্রযুক্তিসহ অনেক কিছু। এগুলো যাতে দেশবিরোধী না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে যাতে এগুলো গ্রহণযোগ্য হয়, এগুলোকে যাতে দেশের কল্যাণের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
প্রযুক্তির কথা ধরা যাক, প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের দেশ উন্নত না হলেও, এদিক থেকে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র। আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে পাই। দেশে এর ব্যবহার যে হারে বাড়ছে, সে হারে সমৃদ্ধি ঘটছে না। আর তাই আমরা অন্যদেশের দ্বারস্থ হই। অথচ একটু শ্রম দিলে আমরাই এই সমস্যার সমাধান দিতে পারি। আজ দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানি দেশীয় প্রযুক্তিতে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী তৈরি করছে। সেগুলো দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। এটা আমাদের জন্য সুসংবাদ। তাহলে ঐ পণ্য সামগ্রী অন্য দেশ থেকে আমাদের ক্রয় করতে হচ্ছে না। ফলে দেশের অর্থ দেশেই থেকে যাচ্ছে। আর দেশের অর্থ দেশে থাকলে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আনয়নের পথ সুগম হবে। এখানে একটি কথা আছে, অনেকে মনে করেন দেশীয় পণ্য কম টেকসই, ভালোভাবে কাজ করে না ইত্যাদি। এ জন্য আমাদের প্রযুক্তিবিদদের সচেতন হওয়া দরকার। যাতে সবাই দেশীয় পণ্যের উপর আস্থা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রযুক্তিবিদদের বিভিন্ন দিক থেকে সহায়তা করতে হবে। আর প্রযুক্তিবিদরা যাতে দেশের জন্য কাজ করে, বিদেশে চলে না যায়, সে জন্য তাদেরকেও দেশপ্রেমী হতে হবে। এ কাজকরণে সরকারের অনেক দায়িত্ব রয়েছে।
দেখুন, আমাদের বাতাস আমাদের কাছে বিক্রি করে বিদেশি কোম্পানিগুলো প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মোবাইল সিম ও নেটওয়ার্কের কথা বলছি। বর্তমানে দেশে ৬টি মোবাইল অপারেটর চালু রয়েছে। এগুলো সিটিসেল, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক ও এয়ারটেল। এদের মধ্যে 'টেলিটক' হলো দেশীয়। এখন দেখুন অন্য অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা কত আর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা কত। আর ঐ বিদেশি অপারেটরগুলো প্রতিদিন কত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার মানে, আমাদের বাতাস আমাদের কাছে বিক্রি করে কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেকের মুখে শোনা যায়, ঢাকার বাইরে নাকি টেলিটকের নেটওয়ার্ক ভালো পাওয়া যায় না। আমরা আশাবাদী সরকার এ ব্যাপারে শীঘ্রই প্রকল্প হাতে নিবে। সবাই যদি এর গ্রাহক হয়, তাহলে সব অর্থ দেশেই থেকে যাচ্ছে। এই অর্থ কি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়নে ভূমিকা রাখবে না? সবাই এর গ্রাহক হলে, তখন কলরেট কমিয়ে দিলে সমস্যা হবে না। অনেকে বলতে পারেন, ঐ কোম্পানিগুলোতে চাকরি করে আমাদের ছেলে-মেয়েরা কি অর্থ আয় করছে না, ভুল হবে। দেখুন, আমাদের দেশের মাটি, বাতাস, শ্রমিক ও সম্পদ ব্যবহার করেই কিন্তু আমাদের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ঐ ছেলে-মেয়েরা কি দেশীয় কোম্পানিতে কাজ করতে পারবে না? গ্রাহক সংখ্যা বাড়লে এর কর্মক্ষেত্রও বেড়ে যাবে। একটু দেখুন, তারা কত বেতন পাচ্ছে, আর কোম্পানিগুলো কত হাতিয়ে নিচ্ছে। সবাই এর গ্রাহক হলে আমরা কত টাকা পাব। এই দুই অর্থের সাথে তুলনামূলক হিসাব কষুণ তাহলে সঠিক ফল আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন।
লেখক : শ্রেণি: ২য় বর্ষ সম্মান
বিভাগ: ভাষা বিজ্ঞান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রযুক্তির কথা ধরা যাক, প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের দেশ উন্নত না হলেও, এদিক থেকে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র। আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে প্রযুক্তির ব্যবহার দেখতে পাই। দেশে এর ব্যবহার যে হারে বাড়ছে, সে হারে সমৃদ্ধি ঘটছে না। আর তাই আমরা অন্যদেশের দ্বারস্থ হই। অথচ একটু শ্রম দিলে আমরাই এই সমস্যার সমাধান দিতে পারি। আজ দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানি দেশীয় প্রযুক্তিতে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী তৈরি করছে। সেগুলো দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। এটা আমাদের জন্য সুসংবাদ। তাহলে ঐ পণ্য সামগ্রী অন্য দেশ থেকে আমাদের ক্রয় করতে হচ্ছে না। ফলে দেশের অর্থ দেশেই থেকে যাচ্ছে। আর দেশের অর্থ দেশে থাকলে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আনয়নের পথ সুগম হবে। এখানে একটি কথা আছে, অনেকে মনে করেন দেশীয় পণ্য কম টেকসই, ভালোভাবে কাজ করে না ইত্যাদি। এ জন্য আমাদের প্রযুক্তিবিদদের সচেতন হওয়া দরকার। যাতে সবাই দেশীয় পণ্যের উপর আস্থা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রযুক্তিবিদদের বিভিন্ন দিক থেকে সহায়তা করতে হবে। আর প্রযুক্তিবিদরা যাতে দেশের জন্য কাজ করে, বিদেশে চলে না যায়, সে জন্য তাদেরকেও দেশপ্রেমী হতে হবে। এ কাজকরণে সরকারের অনেক দায়িত্ব রয়েছে।
দেখুন, আমাদের বাতাস আমাদের কাছে বিক্রি করে বিদেশি কোম্পানিগুলো প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মোবাইল সিম ও নেটওয়ার্কের কথা বলছি। বর্তমানে দেশে ৬টি মোবাইল অপারেটর চালু রয়েছে। এগুলো সিটিসেল, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক ও এয়ারটেল। এদের মধ্যে 'টেলিটক' হলো দেশীয়। এখন দেখুন অন্য অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা কত আর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা কত। আর ঐ বিদেশি অপারেটরগুলো প্রতিদিন কত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার মানে, আমাদের বাতাস আমাদের কাছে বিক্রি করে কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেকের মুখে শোনা যায়, ঢাকার বাইরে নাকি টেলিটকের নেটওয়ার্ক ভালো পাওয়া যায় না। আমরা আশাবাদী সরকার এ ব্যাপারে শীঘ্রই প্রকল্প হাতে নিবে। সবাই যদি এর গ্রাহক হয়, তাহলে সব অর্থ দেশেই থেকে যাচ্ছে। এই অর্থ কি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়নে ভূমিকা রাখবে না? সবাই এর গ্রাহক হলে, তখন কলরেট কমিয়ে দিলে সমস্যা হবে না। অনেকে বলতে পারেন, ঐ কোম্পানিগুলোতে চাকরি করে আমাদের ছেলে-মেয়েরা কি অর্থ আয় করছে না, ভুল হবে। দেখুন, আমাদের দেশের মাটি, বাতাস, শ্রমিক ও সম্পদ ব্যবহার করেই কিন্তু আমাদের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ঐ ছেলে-মেয়েরা কি দেশীয় কোম্পানিতে কাজ করতে পারবে না? গ্রাহক সংখ্যা বাড়লে এর কর্মক্ষেত্রও বেড়ে যাবে। একটু দেখুন, তারা কত বেতন পাচ্ছে, আর কোম্পানিগুলো কত হাতিয়ে নিচ্ছে। সবাই এর গ্রাহক হলে আমরা কত টাকা পাব। এই দুই অর্থের সাথে তুলনামূলক হিসাব কষুণ তাহলে সঠিক ফল আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন।
লেখক : শ্রেণি: ২য় বর্ষ সম্মান
বিভাগ: ভাষা বিজ্ঞান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments:
Post a Comment
Thanks for visiting.