Saturday, October 20, 2012
পানি ও বাতাস থেকে পেট্রল - প্রথম আলো
পানি ও বাতাস থেকে পেট্রল
সারা বিশ্বের যখন পরিবেশ রক্ষায় ‘সবুজ জ্বালানি’র খোঁজে ব্যস্ত, জ্বালানিসংকট যখন কাবু করে ফেলছে বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতি; এ সময় যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক এমন এক জ্বালানি উদ্ভাবনের কথা দাবি করলেন, যা দারুণ এক সুখবর বটে। পানি ও বাতাস থেকে পেট্রল তৈরির দাবি করেছেন তাঁরা। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রকৌশলীদের উদ্ভাবিত এই পেট্রল অদূর ভবিষ্যতে সবুজ জ্বালানির ব্যবহারে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারবে।
রয়টার্সের এক খবরে জানা যায়, উত্তর ইংল্যান্ডের টিসাইডে অবস্থিত এয়ার ফুয়েল সিনথেসিসের (এএফএস) প্রকৌশলীরা গত আগস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত বাতাস ও পানি থেকে প্রায় পাঁচ লিটারের মতো কৃত্রিম পেট্রল উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের দাবি, পানির হাইড্রোজেন ও বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে পাওয়া মিথানল প্রক্রিয়াজাত করে মূলত এই কৃত্রিম পেট্রল পাওয়া গেছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে এএফএসের প্রকৌশলীদের এই উদ্ভাবন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মাধ্যমে কার্বনমুক্ত পেট্রল তৈরি করার একটি পথ খুলে গেল। কার্বনমুক্ত পেট্রল সাধারণ পেট্রলের মতো কাজ করবে।
এক সাক্ষাত্কারে এএফএসের প্রধান নির্বাহী পিটার হ্যারিসন রয়টার্সকে বলেন, উদ্ভাবিত এই পেট্রল তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি পরিষ্কার। তিনি বলেন, এতে সালফার জাতীয় কোনো পদার্থের অস্তিত্ব নেই, সুতরাং এটি পরিবেশের দূষণ করবে না।
পানি ও বাতাস থেকে পেট্রল তৈরি করার এই প্রকল্পটি প্রায় দুই বছর ধরে চালিয়ে আসছে এএফএস। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
হ্যারিসনের দাবি, ‘এই মুহূর্তে সাধারণ পেট্রলের যে দাম, এর চেয়ে আমাদের উদ্ভাবিত পেট্রোলের দাম অনেক বেশি। আশা করছি, কোনো এক সময় সংশ্লেষণের মাধ্যমে উদ্ভাবিত এই পেট্রল আমরা মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে পারব।’ ব্যাপারটি সময়সাপেক্ষ বলে তিনি মনে করেন।
হ্যারিসনের ভাষ্য, ‘আমরা নবায়নযোগ্য সবুজ জ্বালানি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। এটি যে খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বকে উপহার দেওয়া যাবে, তা বলছি না। কিন্তু যখন জ্বালানি তেলের সত্যিকারের সংকট দেখা দেবে, তখন আমরা হয়তো এমন কিছু উদ্ভাবন করতে সক্ষম হব, যার দ্বারা সারা পৃথিবী উপকৃত হবে। জ্বালানির সংকটের কারণে কোনো কিছু থেমে থাকবে না।’
এএফএস এই মুহূর্তে সিনথেটিক পেট্রল তৈরির একটি শোধনাগার তৈরির চিন্তা-ভাবনা করছে। দুই বছরের মধ্যে এই বাণিজ্যিক শোধনাগারটি আলোর মুখ দেখবে বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি। শোধনাগারটি তৈরি হয়ে গেলে প্রতিদিন এক হাজার ২০০ লিটার সিনথেটিক পেট্রল তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে এএফএস। রয়টার্স।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Grreat read
ReplyDelete