Sunday, June 22, 2014

অটোমান সাম্রাজ্যের পর কি তালেবান সাম্রাজ্য? :: দৈনিক ইত্তেফাক

সম্প্রতি একটি আমেরিকান ম্যাগাজিনে একটি মজার প্রবন্ধ পাঠ করেছি। মজার প্রবন্ধ বলছি এজন্যে যে, এই লেখাটিতে ব্যক্ত ভবিষ্যদ্বাণী যদি সঠিক হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যেই পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের কবর তৈরি হচ্ছে বলে যে রাজনৈতিক প্রবাদ রয়েছে তার যথার্থতা প্রমাণিত হবে। মার্কিন প্রাবন্ধিক লিখেছেন, পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতে প্রথম মহাযুদ্ধের পর শেষ ইসলামী সাম্রাজ্য (অটোমান এমপায়ার বা ওসমানিয়া সাম্রাজ্য) ধ্বংস হয়। তাকে টুকরো টুকরো করে ভাগ করে বিভিন্ন ইউরোপিয়ান দেশের বিশেষ করে ব্রিটিশদের কলোনি স্থাপিত হয়। পরবর্তীকালে ব্রিটিশদের স্থান দখল করে আমেরিকা। এখন বিশ্ব পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তনে মধ্যপ্রাচ্যে তালেবান আগ্রাসনের (পশ্চিমাদের ভাষায় টেরোরিজম) মুখে আমেরিকা পিছু হটছে। এই পিছু হটা বন্ধ হবে মনে হয় না এবং মধ্যপ্রাচ্যে অটোমান সাম্রাজ্যের বদলে কালক্রমে একটি তালেবান সাম্রাজ্য গড়ে উঠলে বিস্ময়ের কিছু নেই।

আজ লিখতে বসে আমেরিকান ম্যাগাজিনে পঠিত এই প্রবন্ধটির কথা মনে পড়লো। এটি পাঠ করেছি বেশ কিছুদিন হয়। পড়ার সময় লেখকের মন্তব্যকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি। কিন্তু যতোই সময় যাচ্ছে মনে হচ্ছে, এই তেমন খ্যাত নন আমেরিকান লেখক হয়তো কোনো অত্যুক্তি করেননি। মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক খবর তারই ইঙ্গিত দেয়। ইরাকে প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে মিথ্যা অজুহাতে হত্যা করে এবং দেশটিতে অবৈধ আগ্রাসন চালিয়ে আমেরিকা ও ব্রিটেন সেখানে ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে। বহু ঢক্কা নিনাদিত শান্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

সুন্নি বিদ্রোহীরা ইরাকে মসুল ও তিরকিত শহর কব্জা করার পর বাগদাদের দিকে এগুচ্ছে। পশ্চিমা তাঁবেদার সরকার আমেরিকার কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন এই সরকারের পতন ঠেকানোর জন্য বিদ্রোহীদের উপর বিমান হামলা চালান। ওবামা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে প্রস্তাবটি বিবেচনা করছেন এবং পারস্য উপসাগরে রণতরী মোতায়েন করেছেন। কিন্তু আমেরিকান জনমত আবার ইরাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঘোর বিরোধী। তারা মনে করে, ইরাক যুদ্ধ তাদের অর্থনীতি বিপন্ন করেছে; বিশ্বে আমেরিকার নৈতিক নেতৃত্ব ধ্বংস করেছে। এই বিরুদ্ধ জনমতের মোকাবিলায় ওবামা সরকার ইরাকে বিদ্রোহীদের উপর সীমিত বিমান হামলা চালাতে গেলেও তাতে বিদ্রোহীদের অভিযান ঠেকাতে পারবে বলে কেউ মনে করেন না।

ভাগ্যের পরিহাস; যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে ধ্বংস করার জন্য আমেরিকা আট বছরব্যাপী ইরান-ইরাক যুদ্ধ বাধিয়ে সাবেক সাদ্দাম সরকারকে অস্ত্র ও অন্যান্য সাহায্য জুগিয়েছে, এখন সেই ইরাকে সুন্নি অভিযান ঠেকানোর জন্য ইরানের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছে। ওয়াশিংটনের সম্ভবত ধারণা ছিলো, ইরান যেহেতু শিয়া দেশ, সেহেতু ইরাকে সুুন্নি অভিযান ঠেকানোর জন্য তারা ইরানের শিয়া সরকারকে উত্সাহিত করতে পারবেন। এই শিয়া-সুন্নিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির খেলা খেলে আমেরিকা অতীতেও মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোতে ভ্রাতৃঘাতী বিবাদ বাধিয়ে নিজেদের প্রভুত্ব কায়েম রেখেছে। সুন্নি সউদি আরব ও শিয়া ইরানের মধ্যে ওয়াশিংটন এমনভাবে তিক্ততা সৃষ্টি করেছে যে, সউদি বাদশাহেরা মধ্যপ্রাচ্যে আরব মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে পর্যন্ত মিতালি পাতিয়ে মুসলিম দেশ ইরানে বোমা হামলা চালানোর জন্য আমেরিকাকে অনুরোধ জানাচ্ছে।

আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে চোখ রাঙানি অব্যাহত রাখলেও এখন পর্যন্ত কোনো সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি; বরং ইরাকে সুন্নি অভিযান ঠেকানোর জন্য শিয়া ইরানের সাহায্য প্রার্থনা করেছে। শিয়া-সুন্নি যুদ্ধ বাধানোর এই আমেরিকান কৌশলের কাছে তেহরান এবার হার মানেনি। বরং তার প্রতিবেশী দেশ ইরাকে কোনো সামরিক হামলা না চালানোর জন্য আমেরিকাকে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। অন্যদিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাবুলে তালেবান অভিযান ঠেকিয়ে রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে ওয়াশিংটনও নিঃসন্দেহ নয়।

আমেরিকা এখন নিজের প্যাঁচে নিজেই আটকে পড়েছে। ইসরায়েলকে মদদ প্রদান এবং আরব দেশগুলোকে পদানত রাখার লক্ষ্যে ইরাকের সেক্যুলার সাদ্দাম সরকার এবং লিবিয়ার আধা সেক্যুলার গাদ্দাফি সরকারকে ধ্বংস করে সেখানে তালেবান, আল কায়দা তথা জিহাদিস্টদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে দিয়েছে। রাশিয়া ও চীন সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যাওয়ার জন্য সিরিয়ার সেক্যুলার আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু সেখানেও পশ্চিমাদেরই মদদপুষ্ট তথাকথিত ইসলামী টেরোরিস্টদের সন্ত্রাস অব্যাহত রয়েছে।

কোনো কোনো মার্কিন পর্যবেক্ষকের মতেই, আমেরিকার সম্প্রসারণবাদী ও আধিপত্যবাদী নীতি এখনো পরিবর্তিত হয়নি। কিন্তু তার আড়ালে একটি "successful retreat" বা সাফল্যজনক পশ্চাত্পসরণের নীতির আভাস পাওয়া যায়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জয়লাভের পরও যেমন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য রক্ষা পায়নি, তেমনি বর্তমানে গোটা বিশ্বে আমেরিকা তার সামরিক থাবার বিস্তার অব্যাহত রেখেও সাম্রাজ্য রক্ষা করতে পারছে না। যুদ্ধাস্ত্র উত্পাদন ও বিক্রি এখন তার অর্থনীতির প্রধান নির্ভর। কিন্তু সেই যুদ্ধেরও তেমন বিস্তার ঘটানো যাচ্ছে না, যুদ্ধে দ্রুত সাফল্য দেখানো যাচ্ছে না ইরাক ও আফগান যুদ্ধের পর। এই দুই দেশেই আমেরিকার "রণ পা" মাটিতে আটকে গেছে। সর্বত্র ভিয়েতনাম সিনড্রম। ভিয়েতনাম থেকে আমেরিকা তবু পালাতে পেরেছিল। মধ্যপ্রাচ্য থেকে সে সসম্মানে পালাতেও পারছে না। পালাতে গেলে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের কবর এখনই মধ্যপ্রাচ্যের মাটিতেই তৈরি হয়ে যাবে।

মার্কিন বিদেশ নীতি এখন সর্বত্র হোঁচট খাচ্ছে। তাদের ইচ্ছে ছিল কয়েকটি মুসলিম দেশে জনসমর্থনহীন পুরনো কিছু ডিক্টেটরের বদলে তাদের পছন্দসই নতুন কিছু শাসক ক্ষমতায় বসানো এবং এজন্য আরব জনগণের অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে আরব বসন্ত তৈরি করা। বসন্ত তৈরি হয়েছে কিন্তু কোকিল ডাকেনি। আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও মিসর, এমনকি দীর্ঘকালের সেক্যুলার তুরস্ক পর্যন্ত উগ্র ইসলামিস্টদের ঘাঁটি প্রসারিত হয়েছে। মিসরে সামরিক বাহিনীর সাহায্যে নির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুড সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হয়েছে। বন্দুকের জোরে সেনা প্রধান জেনারেল সিসি ক্ষমতায় বসেছেন এবং ইসলামিস্টদের দমনের জন্য অত্যাচারের স্টিম রোলার চালাচ্ছেন বটে, অনেকের ধারণা, এই সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। ভাগ্য অনুকূল না হলে সিসি সাদতের পরিণতি বরণ করতে পারেন।

মধ্যপ্রাচ্যে সেক্যুলারিজমের সবচাইতে বড় ঘাঁটি ছিলো তুরস্ক। কামাল আতাতুর্ক অটোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষের উপর এমন একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন যে, অনেকেই মনে করেছিলেন, এই সেক্যুলার রাষ্ট্রটি কখনো ধর্মীয় জাতীয়তা ও মৌলবাদের দিকে ফিরে যাবে না। এই প্রত্যাশা ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকা এই দেশটিতেও সেক্যুলারিজমকে বাঁচতে দেয়নি। তারা প্রথমে তুর্কি সেনাবাহিনীকে কব্জায় নেয়; তারপর কামালবাদ বা সেক্যুলারিজম রক্ষার নামে রাষ্ট্র পরিচালনায় সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব নিশ্চিত করে।

আমেরিকায় এই টার্কিস-পলিসিও তার জন্য বুমেরাং হয়েছে। তুরস্কের জনসাধারণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মার্কিন বিরোধী মনোভাব শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী দ্বারা রক্ষিত কামালবাদ বা সেক্যুলারিজমের বিরুদ্ধেও চলে যায় এবং তুরস্কেও ইসলামপন্থিরা এখন রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে একাত্তরের জামায়াতি যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করার জন্য সউদি আরবও প্রকাশ্যে চাপ সৃষ্টি করেনি; কিন্তু করেছে এককালের সেক্যুলার দেশ তুরস্ক।

পাকিস্তানেও নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বে একটি নড়বড়ে গণতান্ত্রিক সরকার আমেরিকার আনুকূল্যে ক্ষমতায় আছে। কিন্তু দেশটিতে তালেবান ও আল কায়দার সন্ত্রাস বেড়ে যাওয়া ছাড়া কমেনি। সম্প্রতি করাচি বিমানবন্দরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা তার প্রমাণ। একটি স্বাধীন ও মিত্র দেশে (জনগণ আমেরিকার মিত্র নয়) ক্রমাগত ড্রোন হামলা চালিয়েও আমেরিকা পাকিস্তানকে তালেবানদের খপ্পরমুক্ত করতে পারেনি। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করেছিল ইসলামপন্থি দলই। পাকিস্তান থেকে আমেরিকা সরে এলে এবং সেখানে একটি অবাধ নির্বাচন হলে তালেবানেরা তাতে জিতে মিসরের মত কেন্দ্রীয় ক্ষমতা দখল করতে পারবে না এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না! এমনটা ঘটলে মিসরের মতো সেনাবাহিনীর সহায়তায় তালেবানদের ক্ষমতা থেকে হটানো যাবে এমন সম্ভাবনাও কম। কারণ, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, এমনকি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইতেও তালেবান সমর্থকদের সংখ্যা এখনো বেশি। সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের আমলে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থায় দারুণ 'পার্জ' চালিয়েও তালেবান ও আল কায়দা সমর্থকদের সংখ্যা কমানো যায়নি।

প্রথম মহাযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ও মুসলিম খেলাফতের বিপর্যয়ের প্রথম কারণ, যুদ্ধে তাদের মিত্র জার্মানির পরাজয়। দ্বিতীয় কারণ, অটোমান খলিফাদের মধ্যযুগীয় রণনীতি ও সেকেলে যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার। পশ্চিমাদের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সামনে সেকেলে যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে তাদের বিশাল বাহিনীও টেকেনি। বর্তমানে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নকে ধ্বংস করার জন্য তালেবান ও আল কায়দা বাহিনী গঠন এবং তাদের হাতে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র তুলে দিয়েছিল আমেরিকা। এমনকি আধুনিক যুদ্ধ কৌশলও শিক্ষা দিয়েছে। ফলে এখন রণক্ষেত্রে আল কায়দার গেরিলা কৌশলের সঙ্গে আমেরিকা অথবা ন্যাটোর সৈন্যও পেরে উঠছে না। আমেরিকার হাতে উন্নত মারণাস্ত্র থাকায় এবং আকাশযুদ্ধে একাধিপত্য থাকায় তালেবানেরা পশ্চিমাদের সঙ্গে এখনো যুদ্ধে পেরে উঠছে না। কিন্তু এই অবস্থা বেশিদিন অব্যাহত থাকবে তা মনে করার কারণ নেই। পরমাণুশক্তিধর পাকিস্তানে যদি তালেবানেরা ক্ষমতা দখল করতে পারে এবং আকাশযুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে তাহলে বর্তমান অবস্থার মোড় ঘুরে যাবে। একথা আমার নয়, কোনো কোনো মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞেরই অভিমত।

একটি মার্কিন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একজন মার্কিন লেখকের ভবিষ্যতের তালেবান সাম্রাজ্য সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণীটি আমি তাই একেবারে উড়িয়ে দেই না। অদূর ভবিষ্যতে পশ্চিমাদের তথাকথিত ওয়ার অন টেরোরিজমকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিয়ে যদি মধ্যপ্রাচ্য ও অন্য মুসলিম দেশগুলো নিয়ে একধরনের তালেবান সাম্রাজ্য বা তালেবান প্রভাবিত রাষ্ট্রজোট গড়ে ওঠে তাহলে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তবে এই সম্ভাবনা বা আশঙ্কার মুখেও আমি একটি ক্ষীণ আশা পোষণ করি। আশাটি হলো—ফতোয়া ও বন্দুকের সমন্বয়ে সাম্রাজ্য গড়ে তোলা যায়, আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও প্রযুক্তিও সেই সাম্রাজ্য গড়ায় সাহায্য যোগাতে পারে, কিন্তু আধুনিক সমাজ-চেতনা ও বহুত্ববাদ (গণতন্ত্র) ছাড়া সেই সাম্রাজ্য রক্ষা করা যাবে না। এ যুগেতো নয়ই।

একটি ডকট্রিন (কম্যুনিস্ট ফতোয়া) এবং সামরিক দিক থেকে সুপার পাওয়ারের শক্তি নিয়েও সোভিয়েট ইউনিয়ন ৭০ বছরের বেশি টিকতে পারেনি। তালেবানেরা আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের অধিকারী, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও শিখেছে, কিন্তু সমাজ চেতনার দিক থেকে তারা মধ্যযুগে এবং তাদের রাষ্ট্রব্যবস্থাও ফতোয়া ও অস্ত্র নির্ভর ব্যবস্থা। এই ধরনের সাম্রাজ্য হুজুগের জোরে প্রতিষ্ঠা করা গেলেও সত্তর বছর কেন, সাত বছরও টিকবে না। এখানেই আমরা যারা গণতন্ত্র ও সেক্যুলারিজমে বিশ্বাস করি, তাদের শেষ ভরসা।

প্রথম মহাযুদ্ধের পর অবিভক্ত ভারতের মুসলমানেরা একটা ভুল করেছিলেন। তারা প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার আন্দোলনে না নেমে তুরস্কের মধ্যযুগীয় খেলাফত উদ্ধারের জন্য খেলাফত আন্দোলন শুরু করেছিলেন। মোহাম্মদ আলী জিন্না পর্যন্ত এই আন্দোলনের সমালোচনা করে বলেছিলেন, 'এই খেলাফত আন্দোলন মধ্যযুগের পচা অতীতে ফিরে যাওয়ার আন্দোলন। এই আন্দোলন সফল হতে পারে না। এই আন্দোলন এখন যতো বড় জোয়ারই সৃষ্টি করুক না কেন!'

জিন্নার এই বাণী স্মরণ করে এ যুগেও বলা চলে, বর্তমানের তালেবান আন্দোলন যতো শক্তিশালী হোক, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে যদি আবার তালেবান সাম্রাজ্যও গড়ে তুলতে পারে, তার আয়ু হবে খুবই স্বল্প। আধুনিক বহুত্ববাদী বিশ্ব-সমাজের চ্যালেঞ্জের সামনে তা টিকতে পারবে না। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পরাজিত হলেও নয়। কারণ, ফতোয়া (তা ধর্মীয় বা মার্কসবাদী যাই হোক) এবং বন্দুকের শক্তি কখনো কোনো সাম্রাজ্য ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে স্থায়িত্ব দিতে পারে না।

Thursday, June 12, 2014

e-BCS Preparation: বাংলা সাহিত্য (চর্যাপদ)-চর্যাপদের কবিগণ

বাংলা সাহিত্য (চর্যাপদ)-চর্যাপদের কবিগণ

চর্যার কবিগণ সিদ্ধাচার্য নামে পরিচিত; সাধারণত বজ্রযানী ও সহজযানী আচার্যগণই এই নামে অভিহিত হতেন। তিব্বতি ও ভারতীয় কিংবদন্তীতে এঁরাই ‘চৌরাশি সিদ্ধা’ নামে পরিচিত। তবে এই ৮৪ জন সিদ্ধাচার্য আসলে কারা ছিলেন তা সঠিক জানা যায় না।
চর্যার কবিরা ছিলেন পূর্ব ভারত ও নেপাল রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসী। কেউ পূর্ববঙ্গ, কেউ উত্তরবঙ্গ, কেউ বা রাঢ়ের অধিবাসী ছিলেন। কেউ কেউ বিহার, কেউ ওড়িশা, কেউ বা আবার অসম বা কামরূপের বাসিন্দাও ছিলেন। এঁরা ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, ক্ষত্রিয়, বণিক এমনকি অন্ত্যজ শ্রেণী থেকেও এসেছিলেন। কেউ কেউ রাজবংশজাতও ছিলেন। এঁরা পূর্বাশ্রমের পিতৃপ্রদত্ত নাম ত্যাগ করেছিলেন বলে নাম দেখে এঁদের জাতি স্থির করা যায় না। এঁরা হিন্দুধর্মের সনাতন শাস্ত্রবিধান মানতেন না বলে এঁদের বেদবিরোধী ও নাস্তিক আখ্যা দেওয়া হয়। সাধনার নামে গোপনে কেউ কেউ যৌনাচারও করতেন বলে আধুনিক গবেষকগণ মত প্রকাশ করেন।
আবিষ্কৃত পুঁথিটিতে ৫০টি চর্যায় মোট ২৪ জন সিদ্ধাচার্যের নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন: লুই, কুক্কুরী, বিরুআ, গুণ্ডরী, চাটিল, ভুসুকু, কাহ্ন, কাম্বলাম্বর, ডোম্বী, শান্তি, মহিত্তা, বীণা, সরহ, শবর, আজদেব, ঢেণ্ঢণ, দারিক, ভাদে, তাড়ক, কঙ্কণ, জঅনন্দি, ধাম, তান্তী পা, লাড়ীডোম্বী। এঁদের মধ্যে লাড়ীডোম্বীর পদটি পাওয়া যায়নি। ২৪, ২৫ ও ৪৮ সংখ্যক পদগুলি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিতে না থাকলেও ডক্টর প্রবোধচন্দ্র বাগচী আবিষ্কৃত তিব্বতি অনুবাদে এগুলির রচয়িতার নাম উল্লিখিত হয়েছে যথাক্রমে কাহ্ন, তান্তী পা ও কুক্কুরী। এই নামগুলির অধিকাংশই তাঁদের ছদ্মনাম এবং ভনিতার শেষে তাঁরা নামের সঙ্গে ‘পা’ (<পদ) শব্দটি সম্ভ্রমবাচক অর্থে ব্যবহার করতেন।
সাধারণভাবে লুইপাদকেই আদি সিদ্ধাচার্য মনে করা হয়। তাঞ্জর বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ছিলেন বাঙালি। তিনি মগধের বাসিন্দা ছিলেন ও রাঢ় ও ময়ূরভঞ্জে আজও তাঁর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। চর্যার টীকায় তাঁর অন্য নাম লূয়ীপাদ বা লূয়ীচরণ। ১ ও ২৯ সংখ্যক পদদুটি তাঁর রচিত।
চর্যার পুঁথিতে সর্বাধিক সংখ্যক পদের রচয়িতা কাহ্ন বা কাহ্নপাদ। তিনি কৃষ্ণাচার্য, কৃষ্ণপাদ ও কৃষ্ণবজ্র নামেও পরিচিত। পুঁথিতে তাঁর মোট ১১টি পদ (পদ- ৭, ৯, ১১, ১২, ১৮, ১৯, ২৪, ৩৬, ৪০, ৪২ ও ৪৫) পাওয়া যায়। ইনি ওড়িশার এক ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। শৌরসেনী অপভ্রংশ ও মাগধী অপভ্রংশজাত বাংলায় তিনি পদ রচনা করতেন। ভুসুকুপাদ বাঙালি ছিলেন বলে অনেকের অনুমান। কেউ কেউ তাঁকে চর্যাগানের শান্তিপাদের সঙ্গে অভিন্ন মনে করেন। চর্যার পুঁথিতে তাঁর আটটি পদ (পদ- ৬, ২১, ২৩, ২৭, ৩০, ৪১, ৪৩, ৪৯) আছে। এছাড়া সরহপাদ চারটি (পদ- ২২, ৩২, ৩৮, ৩৯), কুক্কুরীপাদ তিনটি(পদ- ২, ২০, ৪৮) এবং শান্তিপাদ (পদ- ১৫ ও ২৬) ও শবরপাদ দুইটি পদ (পদ- ২৮ ও ৫০) রচনা করেন। একটি করে পদ রচনা করেন বিরুআ (পদ ৩), গুণ্ডরী (পদ ৪), চাটিল (পদ ৫), কম্বলাম্বরপাদ (পদ ৮), ডোম্বীপাদ (পদ ১৪), মহিণ্ডা (পদ ১৬), বীণাপাদ (পদ ১৭), আজদেব (পদ ৩১), ঢেণ্ঢণ (পদ ৩৩), দারিক (পদ ৩৪), ভদ্রপাদ (পদ ৩৫), তাড়ক (পদ ৩৭), কঙ্কণ (পদ ৪৪), জঅনন্দি (পদ ৪৬), ধাম (পদ ৪৭) ও তান্তী পা (পদ ২৫, মূল বিলুপ্ত)।. নাড়ীডোম্বীপাদের পদটি পাওয়া যায় না।

Tuesday, June 10, 2014

বিসিএস লিখিতঃ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি


এই


লেখাটিতে প্রধানত বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর বড় প্রশ্নগুলোর জন্য
অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু ‘বেসিক
টপিক’ শেয়ার করা হয়েছে। যারা ইতোমধ্যে নিজেকে পরীক্ষার জন্য ভালোমতোই প্রস্তুত করে
ফেলেছেন তারা নিচের টপিকগুলো পড়া হয়েছে কিনা শুধুমাত্র মিলিয়ে দেখতে পারেন, লেখাটাকে তেমন গুরুত্ব দেয়ার
দরকার নেই। আর যারা এখনো মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছেন, তারা হাবুডুবু খাওয়ার ফাঁকে
ফাঁকে নিচের টপিকগুলো যত্নের সাথে পড়ে ফেলুন। কেননা এই বেসিক টপিকগুলো না পড়ে
পরীক্ষার হলে উপস্থিত হওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবেনা।

@বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ ১ম পত্র

১। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ঃ ১৯৪৭-১৯৭১ পর্যন্ত সমস্ত
ঘটনা প্রবাহ। মুক্তিযুদ্ধের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কারন। অর্থাৎ
মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, ভাষা আন্দলোনের ভূমিকা প্রভৃতি।


২।
বাংলাদেশের অর্থনীতিঃ তৈরী পোশাক, জনশক্তি রপ্তানি, বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI=
Foreign Direct Investment), কৃষি, শিল্পায়ন
প্রভৃতি সেক্টরের বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা/ গুরুত্ব, এই সেক্টরগুলোর সমস্যা, সম্ভাবনা, সমস্যার প্রতিকার।


৩।
বাংলাদেশের বিদ্যমান সমস্যা সমূহঃ জনসংখ্যা সমস্যা, জ্বালানী/ বিদ্যুৎ সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন/ বৈশ্বিক
উষ্ণায়নের প্রভাব, দুর্নীতি, সড়ক দুর্ঘটনা এরকম বর্তমানে
বাংলাদেশে বিদ্যমান সমস্যা সমূহ।


৪।
সংবিধান থেকে ১টা বড় প্রশ্ন


**বিগত বছরের প্রশ্নের আলোকে দেখা যায় উপরের ৪টা ক্যাটাগরি
থেকে সাধারনত বাংলাদেশ বিষয়াবলী ১ম পত্র পরীক্ষায় ৪টা
বড়
প্রশ্ন
করা হয়।**

এছাড়া
আরও কিছু বিষয় থেকে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। যেমন-
§  খাদ্য নিরাপত্তা
§  মানব সম্পদ উন্নয়ন
§  পানি সম্পদ
§  জাতীয় শিক্ষানীতি
§  SAARC
§  প্রাকৃতিক দুর্যোগ/ দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা
§  বাংলাদেশের অবস্থান, সীমানা, ভূ-প্রকৃতি

@বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ ২য় পত্র
১। সংবিধানঃ

নিঃসন্দেহে
বলা যায় সংবিধান প্রথম অবস্থায় অন্য ১০টা বিষয়ের মতো ‘জলবৎ-তরলং’ কোন বিষয় নয়। আর
তা নয় বলেই, প্রস্তুতির
ক্ষেত্রে ‘সংবিধানের গুরুত্ব বিচারে’ এটা বিশেষ মনোযোগ এবং পরিশ্রমের দাবী রাখে।
অনেকেই বলেন সংবিধান পড়তে ভালো লাগেনা, কঠিন লাগে ইত্যাদি। তাদেরকে বলবো , এইসব পড়ালেখা কারোই বিশেষ
ভালো লাগেনা, কিন্তু
কিছু করারও তো নেই, না!
বিশেষ কোন লক্ষ্য অর্জন করতে হলে এই চরম প্রতিযোগিতার বাজারে চরম পরিশ্রমের কোন
বিকল্প নেই, সেখানে
নেই কোন ইচ্ছার মূল্য। এত ভণিতা করছি শুধু ১টা সহজ সত্য প্রতিষ্ঠিত/বয়ান করার
জন্য। আর তা হলো, পরীক্ষায়
সংবিধানের সকল প্রশ্নের উত্তর করা জরুরী এবং তার জন্য শর্টকাট কোন উপায়ও (অন্তত)
আমার জানা নাই।


নিচের
৩টা টপিক থেকে সাধারনত ১টা বড় প্রশ্ন বিভিন্ন সময় লিখিত পরীক্ষায় এসেছে।
§  রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সমূহ
§  মৌলিক অধিকার
§  সংশোধনী সমূহ (১৫তম সংশোধনীসহ)


বাকী
প্রশ্নগুলোর জন্য তেমন কোন ধারাবাহিকতা অনুসৃত হয়নি। যেমন-
§  নির্বাচন কমিশন গঠন ও উহার কার্যাবলী (৩২তম)
§  জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা এবং মন্ত্রিসভা গঠন প্রক্রিয়া (৩১তম)
§  জরুরি অবস্থা জারি সংক্রান্ত বিধান (৩০তম)
§  অর্থবিল এবং এর অনুমোদন প্রক্রিয়া (২৯তম)
§  সুপ্রিম কোর্টের প্রতিষ্ঠা, গঠন, কার্যপ্রণালী ও এখতিয়ার (২৯তম)


এরকম
আরও কিছু নতুন নতুন প্রশ্ন প্রত্যেকবারই করা হয় যেগুলো আগে কখনোই আসেনি। তাই
এক্ষেত্রে ধারনা করা সম্ভব নয় কোন কোন অনুচ্ছেদ গুরুত্বপূর্ণ বা পরীক্ষায় আসার
মতো। যেটা দরকার তা হলো সংবিধানের উপর সার্বিক প্রস্তুতি। সংবিধানের সূচীপত্র
ো সংবিধান কয়েকবার ভালমতো রিডিং দিয়ে প্রশ্নের উত্তর নিজের ভাষায় লিখুন। সূচ
প্রথমেই মুখস্থ/আত্মস্থ/নিজস্ব কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে আয়ত্ত করে নিন এবং পু
রোপত্র আপনার
াকলে লাভ হবে ৩টা। প্রথমত, যেকোন টীকার উত্তর দেয়া সম্ভব হবে।
নিয়ন্ত্রণে
থা
্বিতীয়ত,‌ যেকোন

দ্বি
ড় প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব হবে। তৃতীয়ত, সংবিধান ব্যতীত অন্য কোন প্রশ্নেও

ংবিধানের প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ দিয়ে দেয়া সম্ভব হবে। এর চেয়ে সহজ কোন পন্থা আমার

সংজানা নাই। আমি নিজে এভাবেই সংবিধানের প্রস্তুতি নিয়েছি এবং সেই অভিজ্ঞতাই আপনাদের
, পরীক্ষায় সংবিধান থেকে যে
সাথে শেয়ার করলাম। সবার আগে নিজের মাইন্ড সেট করে নি
্রশ্নই করুক না কেন আপনি তার উত্তর করবেন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, দেখবেন একসময় সংবিধান

প্র
জলবৎ-তরলং’ মনে না হলেও খুব একটা কঠিন লাগবেনা।


২। বড় প্রশ্নের জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকঃ
§  বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়
§  স্থানীয় শাসন/ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা
§  বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি
§  MDG’s এবং বাংলাদেশের অর্জন
§  জাতিসঙ্ঘ ও বাংলাদেশ
§  বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সর্বশেষ অবস্থা, বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক, বাংলাদেশ-মায়ানমার সম্পর্কের বিভিন্ন দিক (রোহিঙ্গা ইস্যু সহ)
§  বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা
§  বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটির ভূমিকা
§  বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবির ভূমিকা
§  বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন
§  বাংলাদেশে NGO’s সমুহের ভূমিকা
§  PPP (Public Private Partnership), PRSP (Poverty Reduction Strategy Paper), পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, বাজেট ২০১২-২০১৩, আদমশুমারী ২০১১
§  পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ, শেয়ার বাজার পরিস্থিতি, পরবর্তী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হওয়া উচিত?


যদিও
এখানে অনেকগুলো টপিক বাংলাদেশ বিষয়াবলী ১ম ও ২য় পত্রে আলাদা আলাদা ভাবে দেখানো
হয়েছে তথাপি এগুলো যেকোন পত্রেই আসতে পারে। আর একটা কথা, ৩১ তম’তে বাংলাদেশ বিষয়াবলী
২য় পত্রে এবং ৩২ তম’তে বাংলাদেশ বিষয়াবলী ১ম পত্রে মানবণ্টন ও প্রশ্নের সংখ্যাই
ব্যাপক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হওয়ায় এই ধরনের প্রশ্নপত্রে উত্তর করার জন্য প্রস্তুতির
পরিধি তথা টপিকের সংখ্যা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

@আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী

বিগত
বছরের প্রশ্ন থেকে দেখা যায়, এই
অংশে “বাংলাদেশ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী”র উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কিছু
প্রশ্ন করা হয়। যেমন- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক, বাংলাদেশ-মায়ানমার সম্পর্ক, জাতিসঙ্ঘের শান্তি মিশনে
বাংলাদেশের ভূমিকা বা এরকম আরও কিছু প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ
বিষয়াবলী ১ম ও ২য় পত্রের টপিক গুলো থেকেই আন্তর্জাতিক অংশে কিছু প্রশ্ন আসতে পারে।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকঃ
§  জাতিসঙ্ঘ
§  আরব বসন্ত ও আরব বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি
§  জলবায়ু পরিবর্তন/ বিশ্ব উষ্ণায়ন/ গ্রীন হাউস এফেক্ট/ জলবায়ু সম্মেলন সমূহ
§  বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, Euro Zone Crisis
§  Globalization
§  SAARC এর ভূমিকা
§  NAM, Commonwealth, OIC
§  MDG’s


লক্ষণীয়
যে, জাতিসঙ্ঘ,
MDG’s, SAARC এর
ভূমিকা, জলবায়ু
পরিবর্তন/ বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রভৃতি বিষয়গুলো বাংলাদেশ বিষয়াবলী ১ম ও ২য় পত্র এবং
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সকল পরীক্ষাতেই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।


উপর্যুক্ত
৩টা পত্রের টপিকগুলো পড়া থাকলে বাংলা বা ইংরেজি রচনার জন্য আলাদা প্রস্তুতির দরকার
হয়না শুধুমাত্র সাহিত্যমান বজায় রেখে লিখতে পারলেই হলো।


যেকোন
ধরনের সমালোচনা, জিজ্ঞাসা, পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে।
সবার জন্য শুভকামনা রইলো।

সামিউল আমিন

বিসিএস
(প্রশাসন)

মেধাস্থানঃ
৭ম

৩১ তম
বিসিএস

e-BCS Preparation: বাংলা সাহিত্য (চর্যাপদ)-চর্যাপদের কবিগণ

e-BCS Preparation: বাংলা সাহিত্য (চর্যাপদ)-চর্যাপদের কবিগণ