Friday, April 05, 2013

বাংলা


বাংলা সাহিত্যের প্রধান প্রধান সাহিত্য ধারা কি কি?
উঃ গীতিকবিতা, মহাকাব্য, উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রহসন, প্রবন্ধ, অভিসন্দর্ভ, সমালোচনা, পত্র সাহিত্য, জীবনী সাহিত্য ইত্যাদি।
মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য ধারা কি কি ?
উঃ বৈঞ্চব পদাবলী, জীবনী সাহিত্য, মঙ্গল কাব্য, কবিগান, পুঁথি সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য, মর্সিয়া সাহিত্য ইত্যাদি।
আধুনিক যুগের সাহিত্য ধারা কি কি ?
উঃ মহাকাব্য, গীতিকাব্য, উপন্যাস,নাটক, ছোটগল্প, প্রহসন,প্রবন্ধ, নিবন্ধ, অভিসন্দর্ভ, সমালোচনা, আত্মজীবনীমূলক সাহিত্য, পত্র সাহিত্য, গীতিনাট্য ইত্যাদি।
চর্যাপদ কোন প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় পুনরুদ্ধার করা হয়েছে?
উঃ ‘বঙ্গীয় সাহিত্যে পরিষদ’।
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে?
উঃ পাঠান সুলতানগণ।
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে কোন ধর্ম প্রচারকের প্রভাব অপরিসীম?
উঃ শ্রী চৈতন্যদেব।
কার অনুপ্রেরণায় মহাভারতের অশ্বমেধ পর্ব অনুদিত হয়?
উঃ নাসিরউদ্দিন নসরৎ শাহের।
কার রাজত্বকালে বাংলার লৌকিক কাহিনী ‘মনসামঙ্গল’ রচিত হয়?
উঃ হুসেন শাহের।
‘চৈতন্য ভাগবত’ কার সময় রচিত হয়?
উঃ গিয়াসুদ্দীন মাহমুদ শাহের।
কার পৃষ্ঠপোষকতায় কৃত্তিবাস রামায়ণের অনুবাদ করেন?
উঃ জালালুদ্দিন মুহম্মদ শাহের।
কবি বিদ্যাপতি ও শেখ কবির কার আদেশে বৈঞ্চবপদ কাব্য রচনা করেন?
উঃ নাসির উদ্দিন নসরৎ শাহের।
কবি বিজয়গুপ্ত কার আদেশে ‘মনসামঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন?
উঃ আলাউদ্দিন হুসেন শাহের।
বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিখ্যাত শাসক?
উঃ আলাউদ্দিন হুসেন শাহ।
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় শাহ মুহম্মদ সগীর কোন কাব্যটি রচনা করেন?
উঃ ইউসূফ- জুলেখা।
‘নসীয়তনামা’ কাব্য কার পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত?
উঃ শ্রীসুধর্মের।
কার আদেশে সয়ফুল-মূলক রচিত হয়?
উঃ সৈয়দ মুসার আদেশে।
কার আদেশে আলাওল ‘সতীময়না’ কাব্য রচনা করেন?
উঃ ‘লস্কর উজীর’ আশরাফ খানের।
কবি জৈনুদ্দিন কার সভাকবি ছিলেন?
উঃ গৌড়ের সুলতান ইউসুফ শাহেব।
রসুল বিজয় কাব্য কার অনুপ্রেরণায় রচিত হয়?
উঃ শামসুদ্দীন ইউসূফ শাহের।
‘মহা বংশাবলী’ নামক সামাজিক ইতিহাস গ্রন্থের পৃষ্ঠপোষক কে?
উঃ সুলতান জালালউদ্দিন ফতেহ-ই-শাহ।
বাংলায় সর্বপ্রথম ‘বিদ্যাসাগর কাহিনী’ কার আমলে রচিত হয়?
উঃ হুসেন শাহের আমলে।
কার পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতচন্দ্র ‘বিদ্যাসুন্দর’ রচনা করেন?
উঃ রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র্রের।
কোন কবি গিয়াস উদ্দীন আযম শাহের রাজা কর্মচারী ছিলেন?
উঃ শাহ মুহম্মদ সগীর।
কবি মালাধর বসুর পৃষ্ঠপোষক কে ছিলেন?
উঃ শামসউদ্দিন ইউসুফ শাহ।
রাজা লক্ষন সেনের সভাকবি কে ছিলেন?
উঃ ভারতচন্দ্র ।
হোসেন শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় কে কাব্য চর্চা করেন?
উঃ রূপ গোস্বামী।
কবীন্দ্র পরমেশ্বর কার আদেশে বাংলায় মহাভারত রচনা করেন?
উঃ পরাগল খানের।
ছুটি খানের সভাকবি কে ছিলেন?
উঃ শ্রীকর নন্দী।
আলাওল ‘পদ্মাবতী’ রচনা করেন?
উঃ মাগন ঠাকুরের অনুরোধে।
কবি হাফিজকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কোন নৃপতি?
উঃ গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ।

বাংলা সাহিত্যের শেকড় সন্ধানী সাহিত্য কি?
উঃ লোকসাহিত্য।
লোক সাহিত্যের প্রাচীনতম সৃস্টি কি?
উঃ ছড়া ও ধাঁ ধাঁ ।
ঋড়ষশষড়ৎব ংড়পরবঃু এর কাজ কি?
উঃ লোকসাহিত্য চর্চা ও সংরক্ষন।
‘মহুয়া পালা’ কোন কাহিনী নিয়ে রচিত?
উঃ বেদের এক অপূর্ব সুন্দরী কন্যা মহুয়ার সাথে বামনকান্দার জমিদার ব্রাহ্মন যুবক নদের চাঁদের প্রনয় কাহিনী।
মৈয়মনসিংহ গীতিকার অর্ন্তগত উল্লেখযোগ্য গীতিকাগুলো কি কি ?
উঃ মহুয়া, চন্দ্রাবতী, কাজল রেখা, দেওয়ানা মদিনা প্রভৃতি।
‘দেওয়ানা মদিনা’ পালাটির রচয়িতা কে?
উঃ মনসুর বয়াতি।
বাংলাদেশ থেকে সংগৃহিত লোক গীতিকা কয়ভাগে বিভক্ত?
উঃ ৩ ভাগে। নাথ-গীতিকা, মৈয়মনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা।
মৈয়মনসিংহ গীতিকা বিশ্বের কয়টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে?
উঃ ২৩ টি।
মৈয়মনসিংহ গীতিকার রচয়িতা কে?
উঃ ড. দীনেশ চন্দ্র সেন।
মৈয়সনসিংহ গীতিকা কত সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
উঃ ১৯২৩ সালে।
পদ বা পদাবলী বলতে কি বুঝায়?
উঃ পদ্যাকারে রচিত দেবস্তুতিমূলক রচনা।

বৈষ্ণব সাহিত্য কি?
উঃ বৈঞ্চব মতকে কেন্দ্র করে রচিত সাহিত্যকে।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যর সূচনা ঘটে কবে?
উঃ চর্তুদশ শতকে।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের বিকাশ কাল কখন?
উঃ ষোড়শ শতকে।
শাক্ত পদাবলী কোন শতকের সাহিত্য ছিল?
উঃ আঠারো শতক।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের আদি কবি কে কে?
উঃ বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাশ।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের চতুষ্টয় কে কে?
উঃ বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস ও গোবিন্দ দাস।
বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাশ কোন শতকের কবি?
উঃ চর্তুদশ শতক।
জ্ঞানদাস ও গোবিন্দ দাস কোন শতকের কবি?
উঃ ষোড়শ শতক।
বিদ্যাপতি কোন ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলী রচনা করেছেন?
উঃ ব্রজবুলী ভাষায়।
বৈষ্ণব পদাবালী সাহিত্যের উল্লেখ্যযোগ্য কবি কে কে?
উঃ বিদ্যাপতি, চন্ডী দাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দ দাস, যশোরাজ খান, চাঁদকাজী, রামচন্দ বসু, বলরাম দাস, নরহরি দাস, বৃন্দাবন দাস, বংশীবদন, বাসুদেব, অনন্ত দাস, লোচন দাস, শেখ কবির, সৈয়দ সুলতান, হরহরি সরকার, ফতেহ পরমানন্দ, ঘনশ্যাম দাশ, গয়াস খান, আলাওল, দীন চন্ডীদাস, চন্দ্রশেখর, হরিদাস, শিবরাম, করম আলী, পীর মুহম্মদ, হীরামনি, ভবানন্দ প্রমুখ।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য মুসলিম কবি কে কে?
উঃ আলাওল, সৈয়দ সুলতান, আকবর, ফয়জুল্লাহ, ্আফজল, সালেহ বেগ, নাসির মাহমুদ, সৈয়দ আইনুদ্দীন, গয়াস খান, ফাজিল, নাসির মহম্মদ, আলীরজা, করম আলী।
বৈষ্ণব পদাবলীর প্রধান অবলম্বন কি কি?
উঃ রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
অধিকাংশ বৈষ্ণব পদাবলী কোন ভাষায় রচিত হয়েছে?
উঃ ব্রজবূলী ভাষায়।
শাক্ত পদাবলীর উল্লেখ্যযোগ্য কবি কে কে?
উঃ রামপ্রসাদ সেন, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, আলীরজা, কমলাকান্ত, নন্দকুমার প্রমুখ।



মঙ্গলকাব্যের উপজীব্য কি ?
উঃ ধর্মবিষয়ক আখ্যান। দেবদেবীর গুনগান মঙ্গলকাব্যর উপজীব্য। স্ত্রী দেবীদের প্রধান্য এবং মনসা ও চন্ডীই এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলকাব্য প্রধানত কত প্রকার ও কি কি?
উঃ মঙ্গল কাব্য প্রধানতঃ দু’প্রকার। যথা- (ক) পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য ও (খ) লৌকিক মঙ্গলকাব্য।
উল্লেখ্যযোগ্য পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য কি কি?
উঃ অন্নদামঙ্গল, কমলামঙ্গল, দূর্গামঙ্গল।
উল্লেখযোগ্য লৌকিক মঙ্গলকাব্য কি কি?
উঃ মনসা মঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, কালিমঙ্গল, গৌরীমঙ্গল (বিদ্যাসুন্দরী), সারদামঙ্গল প্রভৃতি।
সর্বাপেক্ষা প্রাচীনতম মঙ্গলকাব্য ধারা কোনটি?
উঃ মনসামঙ্গল।
সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় মনসামঙ্গল কাহিনী কোনটি?
উঃ চাঁদ সাগরের বিদ্রোহ ও বেহুলার সতীত্ব কাহিনী।
মনসামঙ্গল কাব্য কোন দেবীর কাহিনী নিয়ে রচিত?
উঃ দেবী মনসা’র কাহিনী।
মনসামঙ্গলের উল্লেখযোগ্য চরিত্র কি?
উঃ মনসাদেবী, চাঁদ সুন্দর, বেহুলা, লক্ষ্মীন্দর।
মনসামঙ্গলের আদি কবি কে?
উঃ কানা হরিদত্ত।
কোন রাজার সময় মনসা মঙ্গল কাব্য রচিত হয়?
উঃ সুলতান হুসেন শাহের সময়ে।
মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি নারায়ন দেবের জন্মস্থান কোথায়?
উঃ বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলায়।
কবি নারায়ন দেবের কাব্যের নাম কি?
উঃ পদ্মপুরাণ।
মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি বিজয় গুপ্তের জন্ম স্থান কোথায়?
উঃ বরিশাল জেলার বর্তমান গৈলা গ্রামে এবং প্রাচীন নাম ফুলশ্রী।
‘মনসা বিজয়’ কাব্যগ্রন্থের রচিয়তা কে?
উঃ বিপ্রদাস পিপিলাই, ১৪৯৫ সালে প্রকাশিত হয়।
মনসামঙ্গলের সুকণ্ঠ গায়ক হিসেবে কোন কবির বিশেষ খ্যাতি ছিল?
উঃ দ্বিজ বংশীদাস।
দ্বিজ বংশীদাস কোথায় জন্মগ্রহন করেন?
উঃ কিশোরগঞ্জ জেলার পাতুয়ারী গ্রামে।
মনসামঙ্গলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ক্ষেমানন্দের উপাধি কি ছিল?
উঃ কেতকা দাস।
চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবির নাম কি?
উঃ মানিক দত্ত।
কোন শতকে চন্ডীমঙ্গল কাব্যর সর্বাধিক প্রসার ঘটে?
উঃ ষোড়শ শতকে।
চন্ডীমঙ্গল কাব্যর রচনাকাল কত সময় পর্যন্ত বি¯তৃত?
উঃ ষোড়শ থেকে আঠার শতক পর্যন্ত।
চন্ডীমঙ্গল কাব্য ধারার সর্বশ্রেষ্ট কবি কে?
উঃ কবি কবিকঙ্কন মুকুন্দ রাম চক্রবর্তী।
কবি মুকুন্দ রাম কোথায় জন্মগ্রহন করেন?
উঃ বর্ধমান জেলার দামুন্যা গ্রামে।
কবি মুকুন্দ রাম কার সভাসদ ছিলেন?
উঃ মেদিনীপুর জেলার অড়বা গ্রামের জমিদার রঘুনাথের।
মুকুন্দ রামকে কে কেন ‘কবিকঙ্কন’ উপাধি দেন ?
উঃ জমিদার রঘুনাথ শ্রী শ্রী চন্ডীমঙ্গল কাব্য রচনার জন্য।
মুকুন্দ রামের চন্ডীমঙ্গল কাব্যর অন্যান্য নাম কি কি?
উঃ অভয়ামঙ্গল, অধিকামঙ্গল, গৌরিমঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, প্রভৃতি।
চন্ডীমঙ্গলের উল্লেখ্যযোগ্য কবির নাম কি?
উঃ দ্বিজ রামদেব, মুক্তারাম সেন, হরিরাম, ভবানীশঙ্কর দাস, অকিঞ্চন চক্রবর্তী প্রমুখ।
ধর্মমঙ্গল কাব্যের কাহিনী কয়টি এবং কি কি?
উঃ দুটি। যথাঃ (ক) রাজা হরিশ্চন্দ্রের কাহিনী এবং (খ) লাউসেনের কাহিনী।
ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে?
উঃ ময়ূর ভট্ট।
‘হাকন্দপুরান’ কার রচিত কাব্য গ্রন্থ?
উঃ ময়ূর ভট্ট।
শ্যাম পন্ডিত কে ছিলেন?
উঃ ধর্মমঙ্গলের অন্যতম কবি।
নিরঞ্জন মঙ্গল কার কাব্য গ্রন্থের নাম?
উঃ শ্যাম পন্ডিত।
সা’ বারিদ খান রচিত মঙ্গল কাব্যর নাম কি?
উঃ বিদ্যাসুন্দর।
‘কবিরঞ্জন’ কোন কবির উপাধি?
উঃ রাম প্রসাদ সেন।
রাম প্রসাদ সেনকে কে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধি প্রদান করেন?
উঃ নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
রাম প্রসাদ সেনের কাব্য গ্রন্থের নাম কি?
উঃ কবিরঞ্জন।
অষ্টাদশ শতক বা মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে কোন কবি সুপরিচিত?
উঃ ভারতচন্দ্র রায় গুনাকর।
অন্নদামঙ্গল কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
উঃ ভারত চন্দ্র।
ভারতচন্দ্র কে কে ‘রায় গুণাকর’ উপাধি প্রদান করেন?
উঃ নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
ভারতচন্দ্র কার সভাকবি ছিলেন?
উঃ নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
ভারতচন্দ্রের রায় রচিত মঙ্গল কাব্যর নাম কি?
উঃ অন্নদামঙ্গল কাব্য।
ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জন্মস্থান কোথায়?
উঃ হাওড়া জেলার পেঁড়ো (পান্তুয়া) গ্রামে।
কোন কবির জীবানাবসানের মাধ্যমে মধ্যযুগের অবসান হয়েছে?
উঃ কবি ভারত চন্দ্র রায় গুনাকর।



মর্সিয়া সাহিত্য কি ?
উঃ এক ধরনের শোককাব্য।
মর্সিয়া কথাটি এসেছে কোন ভাষা থেকে ? এর অর্থ কি ?
উঃ আরবী ভাষা থেকে; এর অর্থ শোক প্রকাশ করা।
কোন মতবাদ প্রসারের ফলে মর্সিয়া সাহিত্য সৃষ্টির অনুকুল হয়েছে ?
উঃ শিয়া মতবাদ।
‘কাশিমের লড়াই’ মার্সিয়া কাব্যের রচয়িতা কে?
উঃ অষ্টাদশ শতকের কবি শেরবাজ।
বাংলা সাহিত্যে মর্সিয়া সাহিত্য ধারার প্রথম কবি কে এবং তাঁর কাব্যের নাম কি?
উঃ শেখ ফয়জুল্লাহ, ‘জয়নবের চৌতিশা’।
মর্সিয়া সাহিত্য ধারার অন্যতম হিন্দু কবি কে এবং তাঁর কাব্যের নাম কি?
উঃ রাঁধাচরণ গোপ, ‘ইমামগণের কেচ্ছা’ ও ‘আফৎনামা’।



মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে মুসলিম কবিগণের সর্বাপেক্ষা উল্লেখ্যযোগ্য অবদান কি?
উঃ রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান।
মধ্যযুগে ফারসি ভাষা থেকে অনুদিত প্রণয়োপাখ্যানগুলো কি কি?
উঃ ইউসুফ-জুলেখা, লাইলী-মজনু, গুলে বকাওয়ালী, সয়-ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল, সপ্তপয়কর ইত্যাদি।
উঃ পদ্মাবতী, সতী ময়না লোরচন্দ্রনী, মধুমালতী,
মধ্যযুগে হিন্দী ভাষা থেকে অনুদিত প্রণয়োপাখ্যানগুলো কি কি?
মৃগাবতী ইত্যাদি।
‘গুলে বকাওয়ালী’ কে রচনা করেন?
উঃ নওয়াজিশ আলী খান।
‘গুলে বকাওয়ালী’ অন্য কোন কবি রচনা করেন?
উঃ মুহাম্মদ মুকিম।
সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল কাব্যের কাহিনী কি?
উঃ আরবিয় উপন্যাস বা আলেফ লায়লা।
‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল’ কে রচনা করেন?
উঃ আলাওল।
‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল’ অন্য কোন কোন কবি রচনা করেন?
উঃ দেনা গাজী চৌধুরী, ইব্রাহিম ও মালে মোহম্মদ।
সপ্তপয়কর কে রচনা করেন?
উঃ আলাওল।
সপ্তপয়কর কোন কবির রচনার ভাবানুবাদ?
উঃ পারস্যর কবি নিজামী গঞ্জভীর সপ্তপয়কর কাব্যের।
লাইলী মজনু কে রচনা করেন?
উঃ বহরাম খান।
ইউসুফ-জুলেখা কে রচনা করেন?
উঃ শাহ মুহম্মদ সগীর।
‘ইউসুফ-জুলেখা’ অন্য কোন কোন কবি রচনা করেন?
উঃ আব্দুল হাকিম, গরীবুল্লাহ, গোলাম সাফাতউল্লাহ, সাদেক আলী ও ফকির মুহাম্মদ।



নাথ সাহিত্য কি?
উঃ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে শিব উপাসক এক শ্রেণীর যোগী সম্প্রদায়ের নাথ ধর্মের কাহিনী অবলম্বনে রচিত কাব্য।
নাথ সাহিত্যের উল্লেখ্যযোগ্য কবি কে কে?
উঃ শেখ ফয়জুল্লাহ, ভীমসেন রায় ও শ্যামাদাস সেন।
‘গোরক্ষ বিজয়’র রচিয়তা কে?
উঃ শেখ ফয়জুল্লাহ।
শেখ ফয়জুল্লাহ গোবক্ষ বিজয় মুখে শুনে পুস্তকাকারে লিপিবদ্ধ করেন?
উঃ ‘ভারত পাঁচাল’ রচয়িতা কবিন্দ্রের মুখে।
ময়নামতি বা গোপীচন্দ্র অবলম্বনে রচিত গান প্রথম কে সংগ্রহ করেন?
উঃ জর্জ গিয়ার্সন। ১৮৭৮ সালে রংপুর থেকে।
ময়নামতি গোপীচন্দ্রের গান কাব্যের উল্লেখযোগ্য রচিয়তা কে কে?
উঃ দুর্লভ মল্লিক, ভবানীদাস ও শুকুর আহমেদ।
গোরক্ষ বিজয় এর উপজীব্য বিষয় কি?
উঃ নাথ বিশ্বাস জাত যুগের মহিমা এবং নারী ব্যভিচারপ্রধান সমাজচিত্রের বর্ণনা।
শেখ ফয়জুল্লাহ রচিত গ্রন্থের সংখ্যা কয়টি ও কি কি?
উঃ ৫টি। যথা- (ক) গোরক্ষ বিজয় বা গোর্খ বিজয় (খ) গাজী বিজয় (গ) সত্যপরী (ঘ) জয়নালের চৌতিশা (ঙ) রাসানাম।
“মীনচেতন’’ কে রচনা করেছেন ?
উঃ শ্যামাদাস সেন।
“মীনচেতন’’ কে সম্পাদনা করেছেন ?
উঃ ডঃ নলীনিকান্ত ভট্টশালী।



আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিকের নাম কি কি?
উঃ দৌলত কাজী, আলাওল, কোরেশী মাগন ঠাকুর, মরদন, আব্দুল করিম খোন্দকর।
আরাকানকে বাংলা সাহিত্য কি নামে উল্লেখ করা হয়েছে ?
উঃ রোসাং বা রোসাঙ্গ নামে।
কবি আলাওল কোথায় জন্মগ্রহন করেন ?
উঃ ফতেহাবাদের জালালপুরে।
মাগন ঠাকুর কে ছিলেন?
উঃ রোসাঙ্গ রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
“নসীহত নামা” কোন জাতীয় গ্রন্থ ? কে রচনা করেছেন ?
উঃ মরদন রচিত কাব্যগ্রন্থ।
কার আদেশে দৌলত কাজী ‘সতি ময়না ও লোরচন্দ্রানী’ কাব্য রচনা করেন?
উঃ শ্রী সুধর্ম রাজার আমলে তাঁর লঙ্কর উজির আশরাফ খানের।
‘সতি ময়না ও লোরচন্দ্রানী’ কোন শতকের কাব্য?
উঃ সপ্তদশ শতাব্দী।
সতী ময়না ও লোরচন্দ্রানী হিন্দি ভাষার কোন কাব্য অবলম্বনে রচিত?
উঃ হিন্দী কবি সাধন এর ‘মৈনাসত’।
“পদ্মাবতী ’’ কে রচনা করেন ?
উঃ মহাকবি আলাওল।
“পদ্মাবতী ’’ কোন জাতীয় রচনা?
উঃ ঐতিহাসিক প্রণয় উপাখ্যান।
কোন ঐতিহাসিক কাহিনী নিয়ে আলাওল পদ্মাবতী কাব্য রচনা করেন?
উঃ চিতোরের রানী পদ্মীনির কাহিনী।
আলাওলের অন্যান্য রচনার নাম করুন।
উঃ তোহফা, সেকান্দারনামা, সঙ্গীতন শাস্ত্র (রাগতাল নামা), বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায় রাধাকৃষ্ণ রূপকে রচিত পদাবলী ইত্যাদি।



কবিগানের উৎপত্তি ও বিকাশ কোন শতক পর্যন্ত ?
উঃ ১৮ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ১৯ শতাব্দীর প্রথমার্ধে।
কবিগানের উল্লেখ্যযোগ্য কবিওয়ালের নাম কি কি?
উঃ গোঁজলাই গুই, ভরানী বেনে, হরু ঠাকুর, কেষ্টা মুচি, ভোলা ময়রা, এন্টনী ফিরিঙ্গি, নিতাই বৈরাগী প্রমুখ।
কবিগানের আদিগুরু হিসেবে পরিচিত কে ?
উঃ গোঁজলা গুঁই।
গোঁজলা গুই এর উল্লেখযোগ্য শিষ্য কে কে ?
উঃ লালু নন্দলাল, রঘুনন্দ, রামজীবন দাস প্রমুখ।
বাংলা টম্পাগানের জনক কে ছিলেন?
উঃ নিধু বাবু।
‘নানা দেশের নানান ভাষা, বিনে স্বদেশী ভাষা পুরে কি আশা’। এটির রচয়িতা কে?
উঃ নিধু বাবু।
টম্পা গান থেকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কোন ধারার সুত্রপাত?
উঃ বাংলা গীতিকবিতা।
কবিওয়ালাদের মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতি কে অর্জন করেছিল?
উঃ ভবানী বেনে।
কবিগানের কয়টি বিভাগ কি কি?
উঃ ৪টি। বন্দনা, সখী সংবাদ, বিরহ ও খেউর।
হরু ঠাকুরের প্রকৃত নাম কি?
উঃ হরেকৃষ্ণ দিঘাড়ী।
কবিয়াল কেষ্ট মুচির প্রকৃত নাম কি?
উঃ কৃষ্ণচন্দ্র চর্মকার।
কবিগানের বিশেষ গৌরবের যুগ কত সাল পর্যন্ত বি¯তৃত ছিল?
উঃ ১৭৩০-১৮৩০ সাল পর্যন্ত।
কবিওয়ালাদের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক মানসিকতা লালন করতেন কে?
উঃ রাম বসু।
কবিওয়ালদের মধ্যে পর্তুগীজ খ্রিষ্টান কে ছিলেন?
উঃ এন্টনি ফিরিঙ্গি।



শায়ের কারা?
উঃ পুঁথি সাহিত্যের রচয়িতার শায়ের বলা হয়।
পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক কবির রচয়িতা কে?
উঃ ফকির গরীবুল্লাহ।
উল্লেখযোগ্য শায়েরের নাম কি?
উঃ ফকির গরীবুল্লাহ, সৈয়দ হামজা, মালে মুহম্মদ, আয়েজুদ্দিন, মুহম্মদ মুনশী, দানেশ প্রমুখ।
পুঁিথ সাহিত্যে কোন কোন ভাষার সংমিশ্রন ঘটেছে?
উঃ আরবী, ফার্সি, বাংলা, হিন্দি, তুর্কি  প্রভৃতি।
কালুগাজী ও চন্দ্রাবতী কোন ধরনের সাহিত্য?
উঃ পুঁতি সাহিত্য।
পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় কবি কে ছিলেন?
উঃ ফকির আবদুল্লাহ।
ফকির আবদুল্লাহর শ্রেষ্ঠ কবি প্রতিভা কোন গ্রন্থে বিধৃত?
উঃ ইউসুফ- জুলেখা।
প্রনোয়োপখ্যান জাতীয় উল্লেখযোগ্য পুথি সাহিত্য কি কি ?
উঃ ইউসুফ- জুলেখা, সয়ফুলমূলক- বদিউজ্জমান, লায়লী-মজনু, গুলে-বকাওলী।
যুদ্ধ সম্পর্র্কিত উল্লেখযোগ্য পুঁথি সাহিত্য কি কি ?
উঃ জঙ্গনামা, আমীর হামজা, সোনাভান, কারবালার যুদ্ধ ইত্যাদি।
পীর পাঁচালী বিষয়ক উল্লেখযোগ্য পুঁথি সাহিত্য কি কি ?
উঃ গাজী-কালু চম্পাবতী, সত্য পীরের পুঁথি ইত্যাদি।

মাইকেল মধুসুদন দত্ত
মেঘনাথ বধ কাব্য (১৮৬১)
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যয়
বৃত্রসংহার (১৮৭৫)
নবীনচন্দ্র সেন
রৈবতক(১৮৭৫), করুক্ষেত্র (১৮৯৩), প্রভাস (১৮৯৬)
কায়কোবাদ
মহাশ্মাশান(১৯০৪)
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
স্পেন বিজয় কাব্য(১৯১৪)



গীতিকবি
গীতিকাব্যের নাম/প্রকাশ/রচনাকাল
বিহারীলাল চক্রবর্তী
প্রেম প্রবাহিনী (১৮৭০), বঙ্গসুন্দরী (১৮৭০), নিসর্গ সন্দর্শন (১৮৭০), সারদা মঙ্গল (১৮৭৯)।
সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার
মহিলাকাব্য (১৮৮০), সবিতা সুদর্শন (১৮৭০), বর্ষবর্তন (১৮৭২)।
দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্বপ্নপয়ন (১৮৭৩)।
স্বর্ণকুমারী
গাথা (১৮৮০), কবিতা ও গান (১৮৯৫)।
অক্ষয়কুমার বড়াল
প্রদীপ (১৮৮৪), এষা (১৯১৯)
কামিনী রায়
আলো ও ছায়া (১৮৮৯), মাল্য ও নিমার্ল্য (১৯১৩), অশোক সঙ্গীত(১৯১৪), দীপ ও ধুপ (১৯২৯)।
গোবিন্দ চন্দ্র দাস
প্রসূন (১২৯৪), প্রেম ও ফুল (১২৯৪), কুমকুম (১২৯৮), ফুল রেণু (১৩০৩)।
মোজাম্মেল হোসেন
কুসুমাঞ্জলী (১৮৮২), প্রেমহার (১৮৯৮)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভানুসিংহের পদাবলী
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
আর্যগাথা (১৮৮২), আষাঢ়ে (১৮৯৯), ত্রিবেনী (১৯১২)।
রজনীকান্ত সেন
বাণী (১৯০২), কল্যাণী (১৯০৫), অমৃত (১৯১০), আনন্দময়ী (১৯১০)।
সৈয়দ এমদাদ আলী
ডালি (১৯১২), হাজেরা (১৯১২)।
অক্ষয়কুমার বড়াল
প্রদীপ, (১৮৮৪), এষা (১৯১৯)।
কায়কোবাদ
অশ্রুমালা (১৮৯৫)।


রচিয়তা
প্রহসনের নাম
অমৃতলাল বসু (১৮৫৩-১৯২৯)
বিবাহ বিভ্রাট, সম্মতি সঙ্কট, কালা পানি, বাবু, একাকার, বৌমা, গ্রাম্য বিভ্রাট, বাহবা বাতিক, খাস দখল, চোরের উপর বাটপাড়ি, ডিসমিস, চাটুয্যে ও বাড়–য্যে, তাজ্জব ব্যাপার, কৃপনের ধন।
গিরিশ চন্দ্র ঘোষ (১৮৪৪-১৯১২)
সপ্তমীতে বিসর্জন, বেল্লিক বাজার, বড়দিনের বকশিস, সভ্যতার পান্ডা
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৪৯-১৯২৫)
কিঞ্চিৎ জলযোগ, (১৮৭২), এমন কর্ম আর করব না (১৮৭৭), হঠাৎ নবাব (১৮৮৪), হিতে বিপরীত (১৮৮৬), দায়ে পড়ে দারগ্রহ।
রামনারায়ন তর্করতœ
যেমন কর্ম তেমন ফল (১৯৭৯ বঙ্গাব্দ), উভয় সঙ্কট (১৯৬৯), চক্ষুদান (১৯৬৯)।
মাইকেল মধুসুধন দত্ত ( ১৮২৪-১৮৭৪)
একেই কি বলে সভ্যতা (১৮৬০), বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো (১৮৬০)।
মীর মোশারফ হোসেন( ১৮৪৭-১৯১২)
এর উপায় কি( ১৮৭৫), ভাই, ভাই এই তো চাই (১৮৯৯), ফাঁস কাগজ, একি (১৮৯৯)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( ১৮৬১-১৯৪১)
বৈকণ্ঠের খাতা (১৮৯৭), ব্যঙ্গ কৌতুক (১৯০৭), হাস্য কৌতুক ( ১৯০৭), চিরকুমার সভা (১৯২৬), শেষ রক্ষা ( ১৯২৮)।
দীনবন্ধু মিত্র( ১৮৩০-১৮৭৩)
সধবার একাদশী (১৮৬৬), বিয়ে পাগলা বুড়ো ( ১৮৬৬), জামাই বারিক ( ১৮৭২)।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
কল্কি অবতার (১৮৯৫), বিরহ ( ১৮৯৭), এ্যহস্পর্শ (১৯০০), প্রায়শ্চিত্ত ( ১৯০২)।



নাটক কি?
উঃ দৃশ্যকাব্য।
নাটকের উৎপত্তি কোথায়?
উঃ গ্রীসে।
বাংলা নাটক মঞ্চায়ন, রচনায় ও অনুবাদে কোন বিদেশীর নাম প্রথমে আসে?
উঃ হেরাসিম লেবেডফ।
‘দি ডিসগাইজ’ নাটকের বাংলা আনুবাদক কে?
উঃ হেরাসিম লেবেডফ।
ট্রাজেডি, কমেডি ও ফার্সের মূল পার্থক্য কোথায়?
উঃ জীবনানুভূতির গভীরতায়।
নাটক ও প্রহসনের মূল পার্থক্য কোথায়?
উঃ ব্যঙ্গ বিদ্রুপ।

No comments:

Post a Comment

Thanks for visiting.