Wednesday, July 22, 2015

গুগলে চাকরী পেতে হলে আপনাকে যা জানতে হবে

“গুগল” নামটা সবারই পরিচিত। পৃথিবীর ১ নম্বর ওয়েবসার্চ +(অন্যান্য) সেবাদান কারি প্রতিষ্ঠান। এখানে একটি চাকরী পাওয়া মানে সোনার দিম পারা হাঁস হাতে পাওয়া। এমনটাই সবাই মনে করে কারন গুগল আপনার মেধার প্রকিত মূল্য দিবে। গুগল কিছুদিন আগে আরও ৭ জন বাংলাদেশিকে নিয়োগ দেবার কথা বলেছে। ইতিমধ্যে তাঁরা তিন জনের নামও প্রকাশ করেছে। এর মদ্ধে ২ জন হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইসি বিভাগের সাদিয়া নাহরিন ও সাকিব সাফায়েত এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিন্দ মজুমদার। তাঁরা সবাই গুগলে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেবেন। এটা সত্যি বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়।

আমাদের দেশে অনেক যুবক আছেন যারা অনেক ভালো মানের কাজ জানেন এবং স্বপ্ন দেখেন যে তারাও একদিন গুগলে চাকরী করবে। তাদের জন্য আজকের এই পোষ্ট। যদি সত্যি আপনি মনস্থির করে রাখেন যে, আপনি গুগলে চাকরী করবেন তবে আপনাকে যে কাজগুলো অবশ্যই ভালো করে জানতে হবে।
আসুন জানি বিস্তারিত-


গুগল বিশ্বের সেই প্রতিষ্ঠানগুলো একটি যারা যোগ্য মানুষকে যথাযথ পারিশ্রমিক দিকে কার্পণ্য করে না। গুগলের ইঞ্জিনিয়াররা একানকার তারকা কর্মী। এ প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নরা ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার ডলার বেতনে চাকরি শুরু করেন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ১ লাখ ১৮ হাজার ডলার থেকে শুরু। এরা সিনিয়র হলেই বেতনের কাঠামো দেড় লাখ ডলার ছাড়িয়ে যায়। প্রতিবছর ২৫ লাখ চাকরির দরখাস্ত পায় গুগল। এদের মধ্য থেকে চাকরি লাভ করেন মাত্র ৪ হাজার। আপনি নিজেও সেখানে চাকরিপ্রার্থী হতে পারেন। যদি সংশ্লিষ্ট বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার হয়ে থাকেন, তবে সেখানে ৮০ লাখ টাকা বেতনের চাকরি পেতে হলে আপনার কয়েকটি বিষয় শিখতে হবে। এগুলো জেনে নিন।


১. কোড করতে পারা :  যেকোনো একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কেন্দ্রিক কোড শিখুন। যেমন- সি প্লাস প্লাস, জাভা অথা পাইথন। যদি তিনটি শেখা সম্ভব না হয় তবে যেকোনো একটি তে মাহির হবার চেষ্টা করুন।


২. নিজের কোড পরীক্ষার সামর্থ্য : তবে কোড করা শেখাটাই যথেষ্ট নয়। নিজে যে কোডটি তৈরি করেছেন তা পরীক্ষা করে দেখার দক্ষতা থাকতে হবে। আপনার করা কোডিং এ কোন বাগ আছে কিনা সেটি খুঁজে বের করা, কোডিং এর ওপরে  বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালানো। সফটওয়্যার কিভাবে বদলে ফেলা যায় সে পদ্ধতিও আপনাকে জানতে হবে।


৩. অ্যাবস্ট্র্যাক্ট গণিতের কিছু শিক্ষা অর্জন : এ বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান থাকতে হবে। এর মাধ্যমে যৌক্তিক কারণ খুঁজে বের করা এবং গণিতের ধারাবাহিকতা জানতে পারবেন আপনি।


৪. অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে জানা : আনকে অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখতে হবে, যেমন উইন্ডোজ, ম্যাক, উবন্টু ইত্যাদি। তবে আপনার যে কাজে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে, বা আপনি যেটি করতে সবথেকে বেশী পছন্দ করেন  তার ওপরই জোর দেবে গুগল।


৫. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে জ্ঞান : আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমতা সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা জরুরি। আর এ বিষয়ে নিজের কর্মীদের মোটামুটি জ্ঞানী দেখত চায় গুগল। মনে রাখবেন গুগল কিন্তু রোবট অনেক ভালোবাসে।


৬. অ্যালগোরিদম এবং ডেটা সোর্স বোঝা : স্ট্যাকস, কিউই, ব্যাগসসহ কুইকসোর্ট, মার্জমোর্ট এবং হিপসোর্ট এর মতো সর্টিং অ্যালগোরিদম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।


৭. ক্রিপ্টোলজি জানা : এ সম্পর্কে ব্যাক জ্ঞান থাকা জরুরি। কারণ সাইবার নিরাপত্তা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।


৮. কম্পিলারস গঠন শেখা : আপনি যখন এটি শিখবেন, তখন মানুষের জন্যে উচ্চমানের ভাষা ডিজাইন করতে পারবেন। যন্ত্রের জন্যে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রোগ্রামের ভাষা পদ্ধতিগতভাবে গঠন করতে পারবেন।


৯. প্যারালাল প্রোগ্রামিং জানা : আপনাকে আরো শিখতে হবে প্যারালাল প্রোগ্রামিং। কম্পিউটারে একযোগে কয়েক টন তথ্যের কাজ করতে শেখা খুবই জরুরি।


তবে আজকে থেকে শুরু হয়ে যাক আপনার শেখা। চেষ্টা করুন আপনিও পারবেন যদি আপনার দৃঢ় মনোবল থাকে তবে। গুগল তাদের ইন্টার্ন লেভেলের ইঞ্জিয়ারদের বেতন ধরে বার্ষিক   ৮০ হাজার ডলার আর পার্মানেন্ট হবার পরে আপনার বেতন হবে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ডলার। কি সুনে নিশ্চয় আপনার চোখ বড় বড় হয়ে গেছে। জি এইটা সত্যি কথা। এটি গুগলের শুরুর দিককার বেতন পরে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আপনার বেতন আরও অনেক বাড়বে।
বাংলাদেশের ক্ষুদে ইঞ্জিনারদের অগ্রিম শুভ কামনা দিয়ে আজকের মতো শেষ করলাম আশা করি পরবর্তীতে আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।

Thursday, July 16, 2015

BCS Cadre Choice-বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার চয়েস

অনেকগুলো মেসেজ এসেছে – ক্যাডারগুলোর সুবিধা-অসুবিধা বলে একটা তুলনামূলক লিখা দিতে। এই কাজটা আমার একেবারেই অপছন্দের। অনেককে এ নিয়ে মুখে বলেছি, কিন্তু কখনও লিখি নি। অনেকের মেসেজের জবাবে এই লেখাটি চাকরি সংক্রান্ত গ্রুপগুলোতে দিয়েছিলাম। তবুও এই একই বিষয়ে নিরন্তর মেসেজ আসতেছে। তাই অবশেষে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এখানে দিলাম। ইনবক্সে বিসিএস পরীক্ষার্থীরা ক্যাডারগুলো সম্পর্কে যেসব বিষয় জানতে চেয়েছে, সেই কথাগুলোর জবাব দিতেই চেষ্টা করেছি এখানে।
এডমিনঃ ১ম কথা হল, ৯০% সচিব এডমিন থেকে হয়। শুধু পররাষ্ট্র সচিব ছাড়া সকল সচিবই এডমিন থেকে নিয়োগের ইতিহাস আছে। বর্তমানে কয়েকজন মাত্র সচিব অন্য ক্যাডারের। তাই যারা ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠতে চান তাঁদের জন্য এডমিনই ভাল চয়েস। প্রথমে একটি ডিসি অফিসে কাজ করতে হবে সহকারী কমিশনার হিসেবে। ২/৩ বছর সময়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা AC(Land) এর দায়িত্ব পাবেন। এরপর ইউএনও,এডিসি, ডিসি। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়েও সহকারী সচিব, উপসচিব… হিসেবে অনেকে কর্মরত থাকেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পোস্টিং হয়। তাই এডভেঞ্চার আছে, এটা এনজয় করতে পারলে ভাল লাগবে। মানুষের সাথে সরাসরি কাজ। তাই সত্যি যদি আপনার ইচ্ছা থাকে, মানুষের জন্য কাজ করবেন – সে সুযোগ এখানে আছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস আলাদা হওয়ার পরে এডমিন ক্যাডার নিয়ে অনেক নেগেটিভ কথা শুনা গেছে। বিশেষত আমরা যখন জয়েন করি, তখনই বিষয়টা শুরু হইছিল। তাই অনেকের মাঝে হা-হুতাশ ছিল। এখন কিন্তু সেটা শুনা যায় না তেমন। তখন ভাবা হচ্ছিল মেজিস্ট্রেসি বলতে কিছুই আর এডমিন অফিসারদের থাকবে না। আসলে তো তা নয়। যে কোন দেশেই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এডমিন অফিসারদের বিকল্প নেই। একজন নন-আর্মড অফিসার অর্ডার করবে, আর আর্মড-পার্সনরা সেটা পালন করবে। এটাই যে কোন সভ্য দেশের নিয়ম। তাই এখন সরকারের প্রয়োজনে সহকারী কমিশনারগণ নিয়মিতই ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালন করেন। মোবাইল কোর্টসহ অনেক দায়িত্বই আপনি পাবেন। এরপর পদোন্নতি ভীষণ স্লো – এমন কথা এডমিনের নামে শুনা যায়। কথাটা কিছুটা সত্য। তবে আপনারা যারা এখন জয়েন করবেন, তাঁদের জন্য ভাল খবর হচ্ছে – ২০১৯ সালের দিকে অনেক বড় ব্যাচ রিটায়ার করবে। তখন প্রোমোশন দ্রুত হবে বলে মনে হয়।
পুলিশঃ পুলিশকে সবার প্রয়োজন। তাই সরকারী চাকরি করে পরিচিতজনের কাছে কেন্দ্রবিন্দু হবার সৌভাগ্য এখন পুলিশেরই সবচেয়ে বেশী। যে যাই বলুক, আপনার মোবাইল নাম্বারটা সবার আকাঙ্ক্ষিত হবেই। আর এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করাও পুলিশ ক্যাডারদের পক্ষে সম্ভব। কাউকে সরাসরি বিপদ থেকে রক্ষা বা আইনি সহায়তা তাঁদের হাতেই। তাই যারা মানুষকে সরাসরি সাহায্য করতে চান, তাঁদের জন্য পুলিশ হওয়াই আমাদের দেশে সবচেয়ে উপযোগী। আর এই সৌভাগ্যের সাথে ঝুঁকির কথাও একটু মাথায় রাখুন। রাজনৈতিক সমস্যা থেকে শুরু করে আইনগত সকল সমস্যা পালনের জন্য ঝুঁকি নেবার সাহসটুকু থাকতে হবে। আর ফিল্ড লেভেলে কাজ করতে নেতা-কর্মীদের ম্যানেজ করে দায়িত্ব পালনের বিষয়টাও আছে। ট্রেনিং শেষে পোস্টিং হলে এএসপিকে সরকারী গাড়ি দেয়া হয় দায়িত্ব পালনের জন্য, যেটা আর মাত্র দু-একটা ক্যাডারে আছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশ অফিসারদের অনেকেই সুযোগ পায়। এতে বেশ ভাল আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়, সাথে একটু ঝুঁকি তো আছেই। আবার উপরের লেভেলে পোস্ট কম। তাই উপরে পদোন্নতি একটু স্লো, তবে আমাদের দেশে এসপিই অনেক বড় কিছু, আর তাঁর উপরেরগুলোতো আছেই। মাঝে মাঝে আপনার ব্যক্তিগত কোন দোষ না থাকলেও সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের গালি সরাসরি শুনতে হতে পারে। তবে সেটা আপনার আড়ালে, সামনে পড়লে মোবাইল নাম্বারই নিয়ে নেবে। পুলিশের এএসপিদের অধীনে কনস্টেবল থেকে শুরু করে অনেক পুলিশ সদস্য থাকে, তাই দেশের যেখানেই যাবেন, লজিস্টিক সাপোর্ট থাকবে।
অডিটঃ অডিটে অবশ্য সব সময়ই অল্প ক’টা পোস্ট থাকে। আর যেহেতু পোস্ট অল্প, তাই পদোন্নতি দ্রুত। মোটামুটি বিভাগীয় শহরগুলিতেই পোস্টিং। অডিট হচ্ছে অন্যের ভুল, অনিয়ম এসব ধরা। তাই যে অফিসেই অডিট করবেন, বেশ সম্মানই পাবেন।
ট্যাক্স ও কাস্টমসঃ ৩৫-তম বিসিএসের সার্কুলারে এই ২টা ক্যাডারে কোন পদ নেই। এটা আপনাদের জন্য দুর্ভাগ্যেরই বিষয়। আগে এত অফিসার নিয়ে নিয়েছে, এখন আর খালি নেই। তাই এখানে এগুলো নিয়ে কিছু বললাম না।
ইকনমিকঃ সচিবালয়ে বা পরিকল্পনা কমিশনে অফিস। তাই ঢাকায় পোস্টিং। ইকোনোমিক ক্যাডারের অফিসারগণ প্লানিংয়ের কাজ করেন। তাই যারা রিসার্চ রিলেটেক কাজে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য এটা ভাল চয়েস। হয়তো রিসার্চমুখী বলেই ইকনমিক ক্যাডারের অফিসারদের একটা বড় অংশ বিদেশে ডেপুটেশান বা শিক্ষাছুটিতে পড়াশুনা করে। আবার অনেকদিন ধরেই ইকনমিক ক্যাডারকে এডমিনের সাথে যুক্ত করে ফেলবে বলে আলোচনা হচ্ছে। মানে এটা হলে ইকনমিক ক্যাডাররা এডমিন হয়ে যাবে। তবে এটা দীর্ঘদিন ধরেই ঝুলে আছে। তাই এখন এসব জেনে লাভ নেই। কাজ প্রোজেক্টের প্লানিং। তবে উপরের দিকে পদন্নোতির সুযোগ একটু কম।
তথ্যঃ তথ্য ক্যাডারের অফিসারদের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজের সুযোগ আসতে পারে। মন্ত্রণালয়ে মাননীয় মন্ত্রীগণের Public Relations officer (PRO), বিদেশে কয়েকটা দূতাবাসে তথ্য কর্মকর্তা, এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির অফিসেও তথ্য কর্মকর্তা হতে পারেন। তবে এগুলো সাধারণত স্বল্পকালীন হয়।
পররাষ্ট্রঃ এটাতে আমি চাকরি করি, তাই ঢাক পিটানো হয়ে যাবে কিনা ভাবছি। যাই হোক, ফরেনে চাকরি হলে আপনি সেগুন বাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দিবেন। শুধু বাসা থেকে অফিসে আসা আর ৫টায় অফিস থেকে বের হতে পারলে বাসায় ফেরা এ দুই সময় অফিসের মাইক্রো পাবেন। দুই বছর পূর্ণ হলে আপনি বিদেশে দূতাবাসে পোস্টিংয়ের জন্য উপযুক্ত বলে ধরা হয়। তবে পোস্টিং হতে ৩ বছরের মত লাগে। কেউ কেউ নিজেই দেরী করে বিদেশে পোস্টিং নেয়। এক্ষেত্রে আমার ব্যাচের অভিজ্ঞতা এরকম – অফিসার ১৩ জন। এর মধ্যে ২ জন যোগদানের দুই বছর পরেই পোস্টিংয়ে চলে গেছে। ৪ জন ডেপুটেশানে বিদেশে পড়ছে (১ জন যুক্তরাষ্ট্রে, ৩ জন অস্ট্রেলিয়ায়)। তিন বছরের কাছাকাছি সময়ে আরো ৪ জন পোস্টিংয়ে গেছে। বাকি ৩ জন নিজেরা পোস্টিংয়ে যায়নি, তাঁদের সুযোগ এসেছিল। বিদেশে পোস্টিং হলে ফরেন ভাতা পাবেন। যা পাওয়া যায়, তাতে বিদেশে বিলাসিতা করা যায়না, সংসার চলে। পদোন্নতির সাথে সাথে এলাউন্স বাড়বে। পোস্টিংয়ে থাকা কালে মোটা দাগে বললে বাসা ভাড়া, ২ জন ছেলেমেয়ের পড়াশুনার খরচ, পরিবারের চিকিৎসার ৯০% খরচ সরকার বহন করে। পোস্টিংয়ে থাকা অবস্থায় যে কোন দেশের ডিপ্লোমেটরা ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনতে পারে। তবে গাড়ি দেশে আনতে হলে ট্যাক্স দিতে হবে। অফিসার অল্প, তাই কাজের অনেক চাপ। আবার চাকরিই যেহেতু ফরেনে, তাই অনেক বিদেশে ঘুরতে পারবেন। পোস্টিংয়ের আগেও ট্রেনিং, কনফারেন্স ইত্যাদিতে বিদেশে যাবার সুযোগ আসবে অনেকের। তবে পরিবার ফেলে দীর্ঘদিন বিদেশে থাকা কষ্টকরও বটে। আবার এক দেশে পোস্টিং ৩ বছরের জন্য, এরপর অন্য দেশে ৩ বছর, পরের ৩ বছর ঢাকায়। এটা জেনারেল পোস্টিং প্যাটার্ন। তাই এই ঘন ঘন চেঞ্জ নিজের এবং ছেলেমেয়ের জন্য ঝামেলার। অন্যদিকে ফরেনে অফিসার অল্প বলে পদোন্নতির সুযোগ অন্য চাকরি থেকে ভাল। আমি নিজেই দেখেছি যে, একই বিসিএসের ফরেনের অফিসার জয়েন সেক্রেটারি আর অন্য ক্যাডারের অফিসার সিনিয়র এসিট্যান্ট সেক্রেটারি ছিল। এতদিন এটা প্রচলিত ছিল যে ফরেনে জয়েন করলে সে Ambassador হয়ই। ভবিষ্যতে কি হবে জানি না। তবে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি অফিসারই সময় হলে Ambassador হয়েছে। রাষ্ট্রদূত দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে, তাই সম্মান মনে হয় একটু পাবেন। বেশ হোমরা-চোমরা লোকজনের সাথে মাঝেই দেখা বা মিটিং সিটিং হবে। তবে দেশে রাস্তাঘাটে আপনাকে কেউ চিনবে না।
ক’দিন আগে কয়েকজন তরুণ সাহিত্যিক কয়েকটা লেখা দিয়ে সমালোচনা করতে বলল। কিন্তু সমালোচনা করার পরে তাঁরা আমার উপর ক্ষেপে গেল। আমি নাকি সবাইরে প্রশংসা করে গেছি। আমার মন্তব্য থেকে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কী আর করা – খারাপ বলতে মনে হয় একটু বেশি সাহস লাগে। যাই হোক, সেই বিষয়টা মাথায় রেখে, এখানে আমি একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী যেভাবে ভাবে, সেভাবেই বিভিন্ন ক্যাডারের কিছু বিষয় দিতে চেষ্টা করলাম। এগুলো শুধুই তথ্য। অন্যদের কথাও শুনুন। এরপর নিজের বিচার দিয়ে ভাবুন – কোন কাজটা আপনি করতে চান। কোনটায় আনন্দ পাবেন। সেভাবেই চয়েস দিন। জব এনজয় না করতে পারলে ক্যারিয়ারকে ভালবাসতে পারবেন না। তাই আনন্দ খুঁজে পাওয়াই হোক চয়েসের ভিত্তি। এবার দুটা প্রশ্ন, যেগুলো মেসেজে অনেকবার এসেছে –
সার্কুলারে কোন একটা ক্যাডারে অল্প ক’টা পোস্ট আছে। তো সেটা কি চয়েসে দিব?
আমার ২৮-তম বিসিএস-এর চয়েস নির্ধারণ করতে গিয়ে দেখি অডিটে মাত্র ২/৩ পোস্ট। তো বন্ধু বলল, এটা চয়েসেই দিবে না। কোটা বাদ দিলে ১/২ পোস্ট – সেটা চয়েসে দিয়ে কী হবে? এটা একেবারেই ভুল কথা। পোস্ট বেশি থাক আর কম থাক নিজে যেই চাকরিটা আগে করতে চান সেভাবেই চয়েস দিন। আর পোস্ট পরবর্তীতে বাড়াতে বা কমাতে পারে। সাধারণত কমায় না। কখনও কখনও বাড়ায়। তাই যেসব ক্যাডারের সার্কুলার হয়েছে, সেগুলোতে আপনার পছন্দমত সিরিয়ালে চয়েস দিয়ে দিন।
মোট কয়টা চয়েস দিব? 
আমার অভিমত হল – যেই চাকরিগুলো হলে আপনি অবশ্যই করবেন, শুধু সেগুলোই চয়েস দিন। এক্ষেত্রে ২টা ইস্যু। (১) যারা বিসিএসে যে কোন ক্যাডার হলেই চাকরি করবেন, তাঁরা সার্কুলার দেখে যেগুলোতে এপ্লাই করতে পারবেন, সবগুলো চয়েস দিয়ে দিন। (২) আর যারা মনে করেন – কয়েকটা ক্যাডার না হলে আসলেই চাকরি করবেন না, তাঁরা প্লিস অন্য ক্যাডার চয়েস দিয়েন না। চাকরি হল আর আপনি জয়েন করলেন না বা কিছুদিন পরে ছেড়ে দিলেন, সেটা সবার জন্য খারাপ। দেশের জন্যও খারাপ।
তখন আমার ২৮-তম এর ফাইনাল রেজাল্ট ও মেডিকেল হয়ে গেছে। কিন্তু গেজেট তখনও হয়নি। সেই সময় ২৯-তম বিসিএসের ভাইভা শুরু হয়ে গেল। এখন ২৮ আর ২৯ দুটোতেই আমার ফার্স্ট চয়েস ফরেন। আমি ২৯-তমের ভাইভা দিতেই গেলাম না। ভাবলাম – একটা পোস্ট নষ্ট করব কেন। আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনকে দেখলাম – ২৮তমে ফার্স্ট চয়েস পেয়েও আবার ২৯-এ ভাইভা দিলেন। বললেন, তখনও গেজেট হয়নি। কী হয় কিছু বলা যায় না। রিস্ক তো আছেই। যাই হোক, তাঁরা বেশি সতর্কতামূলকভাবে এটা করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে এটা দোষের নয়। আইনসিদ্ধও বটে। কিন্তু যেটা হয়েছে, অনেকেই ২বার চাকরি পেয়েছে। আর দ্বিতীয়বার জয়েন করেনি। সে পোস্টগুলো ফাঁকা গেছে। কিছু নাকি কোটা থেকে পুরণ করেছে। এতে সরকারের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অনেক পোস্ট খালিই থেকেছে। আর কিছু যোগ্য লোক চাকরি পায়নি। হয়তো তাঁদের বয়স চলে গেছে। তাই আপনি যে চাকরিটা পেলে আসলেই করবেন, শুধু সেটাই চয়েস দিন। তবে যারা ক্যাডার চেঞ্জ করতে আবার পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁদের জন্য ঠিকই আছে।
সবার জন্য অব্যয় অনিন্দ্য’র শুভকামনা।

Wednesday, July 15, 2015

ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্নসহ উত্তরঃ

Language movement:
21 Feb. a total koto jon sohid hoyechilen? ৮ জন 1. Rafiq, 2.barkat, 3.salam, 4.shafiur, 5. Jobbar, 6.auwal, 7.oliullah, 8. 'An unidentified boy' Vasha andoloner prothom shaheed shahid Rafique.

jibito vasa soinik der nam ki ki? Abdul Matin, Golam Arif Tipu, Abul mal Muhit, Gaziul Hoque
Vhasha anduloner 60 year purtite deshe asce 60 takar sharok mudra
Deshe prothom shahidminar hoi : rajshahite

Vasha andoloner slogan ki chilo? Rashtro vasha bangla chai, bangla vasha rashtro chai, chol chol assembly chol

সরকারী ভাষা হিসেবে এ দেশে বাংলার ব্যবহার শুরু হয় কোন সনে? 1956

1956 shal porjonto 11march vasha dibos hisebe palito hoto
Prothom ke bangla vashar dabi utthapo koren? Abul Kashem. (Tamuddin majlish er sompadok), Dhirendro nath Gono porishode
Liberation War:

MARCH


1 march- Iahia khan odhiveson sthogit koren.
2 march- Protibade ordho dibos hortal, DU te prothom BD potaka uttolon (A.S. M abdur Rob), jatio songeet hisaabe robindronather sodeshi kobitar 10 line grohon.
3 march- Strike whole day. sadhinotar istehar ghosona poltan moydane, Bangabondhuke Jatir Jonok Upadhi by A.S. M abdur Rob, Declared 'OSOHOJOG ANDOLON' by Bangabondhu.
4 march- Pakistan radio er naam poriborton kore bangladesh betar kora hoy.
5 march- Dhormio parthona kora hoy

6 march-Iyahia khaner ghosona-odibeson 25 march bosbe
7 march- Sadhinotar itihasik vason by Bangabondhu @ Race Course ground
8 march- International Women Day
15 march- Iahia khan dhakay
16 march- Mujib-Iahia boithok
17 march- Bongobondhur birthday, shishu debosh.
19 march- muktijudde sosortro prtirodh gore tole east bengal regiment, gazipur
22 march- Bangladesh wins 1st major trophies, wins Asia cup against pak

23 march- 32 no barite mujib potaka uttalan koren
25 march- Operation search light
26 march- Raat 12.30 minite bangabondhur sadhinotar ghosona MA Hannan
27 march- Mejor zia r bangabondhur pokhe sadhinotar ghosona
30 march- Kalurghat betar kendr dongso kora hoy

  


Muktijuddher somoy 5 ta slogan r gan   slogaan: joy bangla, বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। ....,tomar amr thikana padma meghna.... gann: joy bangla banglar joy, mora ekti fulke bachabo bole, ak sagor rokter binimoye...


একই সাথে বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীক পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ।। 

Jibito sector commender (4) der name:  C.R. Datta, Mejor Abu Osman Chy, Maj. Gen (rtd) K. M. Safiullah, Captain Rafiqul islam


Bir Uttom 68+1: (jibito 5 jon)
1.Air vice marshal (rtd) A.K. Khandkar (Abdul Karim)
2. Maj. Gen (rtd) K. M. Safiullah
3. Maj. Gen (rtd) C. R. Dutta
4.Major (rtd) Rafiqul Islam
5. Kader Siddiqui

Bir bikrom 175:(jibito 5 jon)1. Dr. Tawfiq-e-Elahi chowdhury, advisor to PM.
2. Mofazzal hossain chowdhury maya
3. Colonel (rtd) Oli Ahmed
4. Major Gen. Chowdhury hasan suhrawary (DG, SSF)
5. Maj. Gen Imamuzzaman
6. Shamser mobin chowdhury

Bir Pratik 426 1. Taramon Bibi
2. Dr. Captain (rtd) Sitara Begum
3. Ltd. Gen. (rtd) Harunur Rashid, (GS, Sector commander forum)
4. Maj. Gen (rtd) Syed Md. Ibrabeem ( kallan party)
5. Brig Gen. (rtd) Md. Abdul Matin

NB:
  1. Bir Uttom: Now 69. This award was declared on 15 December, 1973. Total 68 people have been awarded for their bravery dedication in the liberation war of Bangladesh in 1971. In April 2010, Brigadier General (posthumous) Jamil Uddin Ahmed was posthumously conferred with the Bir Uttom honor for being the lone army officer who was killed while trying to counter the killers of President Sheikh Mujibur Rahman during a military coup on 15 August, 1975.

##Sheikh Mujibur Rahman was the minister of Agriculture and Forestry in 1954 provincial cabinet, Minister of Industrial ministry @ 1957 (3rd April FDC Day) 
সরকারী ভাষা হিসেবে এ দেশে বাংলার ব্যবহার শুরু হয় কোন সনে? 1956
BANGA BANDU 7 March Vason koto time? 3:23 PM to 3:42 PM (about 19 mins)

  ১৯৭১ সারের  মার্চ রেকোর্স ময়দানে এক বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ভাষনের বিষয়বস্তু ছিলনিন্মোক্ত 
ক. তুলমান সামরিক আইন পত্যাহার
খ. সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া
গ. গণহত্যার তদন্ত করা
ঘ. নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমপ্রিয় দেশবাসী আমি মেজর জিয়া বলছি, মহান জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমানের পক্ষে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করছি। আপনারা দুশমনদের প্রতিহত করুন। দলে দলে এসে যোগ দিন স্বাধীনতা যুদ্ধে। গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, সোভিয়েট ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের সকল স্বাধীনতা প্রিয় দেশের উদ্দেশ্যে আমাদের আহ্বান আমাদের ন্যায় যুদ্ধে সমর্থন দিন এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন। ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের অবধারিত। এছাড়াও ৩০ মার্চ ১৯৭১ মেজর জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন, সাহায্য ও স্বীকৃতি লাভের জন্য আরেকবার ইংরেজীতে ঘোষণা দেন।

June 23, 1949 Awami League was founded by Bengali nationalists Maulana Abdul Hamid Khan Bhashani, Shamsul Huq, and later Huseyn Shaheed Suhrawardy


##4 January 1948 Chatra League, Jubo league was established on 11 November 1972 by Sheikh Fazlul Haque Mani
1947… Muslim Jubaleague. বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি নৌকার মধ্যে বসে শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে
 ##awami mane jonogon.....People, janata
1975 ,15 August :বংগবন্ধুর পরিবারের ৭ জন+সেরনিয়াবত পরিবারের ১৩ জন+১জন পুলিশ+ কর্নেল জামিল+ শেখ মনি ও তার স্ত্রী=২৪ জন + (৪)জন + Bongobondhur vai Sk Abu Naser 

In 1975 how many residential hosues were attacked at 32, dhanmondi road?
three houses were...............dhanmondi Rd 32 H 677 (Bongobondhu)......rayerbazar(sheikh fazlul haq moni)..............sobahanbagh( abdur rob serniabad).
15th august e nihoto montri serniabot er sate bongobondhu er  somporko cilo Bangobondhur bon jamai
ওসমানীকে কত তারিখ বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ঘোষণা করা হয়?  18 april 71
1956 shal porjonto 11march vasha dibos hisebe palito hoto
Prothom ke bangla vashar dabi utthapo koren? Abul Kashem. (Tamuddin majlish er sompadok), Dhirendro nath Gono porishode
mujibnagar govt er koyti zonal division chilo? 6  Officers in charge of zonal offices: Faiz Uddin Ahmed, S A Samad, Kazi Raquibuddin Ahmed, Abdur Rab Serniabat
Mujib bahinir training indiar kothay hoy?  Dehradun
district were in 1971 ? 19
 sorboprothom sadhin jela holo Jessore 6th  Dec, Dhaka 31st January 72
aamar manik vai, aamar chelebela ,aamar kichu khota, Unfinished Memories.....are 4 book of sheik mujibur rahman

## 
The four National Leaders : Syed Nazrul Islam, acting president of Bangladesh government in exile in 1971,  
Tajuddin Ahmed, prime minister of the same government,
M Mansur Ali, finance minister,
AHM Qamaruzzaman, minister for home affairs, relief and rehabilitation were killed in captivity by some Army officers at 3rd November,75

## 
আগরতলা মামলার জীবিত আসামী বর্তমান ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী ।। 8 jon জীবিত: 1. nur mohammed2.abdus samad 3.md. khurshed 4. mahfuz bari 5. shamsul alo 6. deputy speaker shawkot ali 7. abdul jalil 8. abdur rouf