Wednesday, August 29, 2012

পদ্মা সেতু এবং পদ্মার ঢেউ


লেখক: ড.এ কে এম শাহনাওয়াজ  বুধবার, ২৯ অগাষ্টu-এ ২০১২, ১৪ ভাদ্র ১৪১৯
পদ্মার সেই প্রমত্তা রূপ নেই। ঢেউয়ে উত্তাল হয় না মাঝির নৌকা। এখন অবশ্য পালতোলা গুনটানা নৌকা নেই বললেই চলে। সব শ্যালো ইঞ্জিন বসানো নৌকা। ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে ক্ষীণতোয়া হয়ে যাচ্ছে নদীটি। এককালে পদ্মার হাত থেকে রাজশাহী শহর বাঁচাতে শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন বাঁধ রয়েছে; কিন্তু সরে গেছে পদ্মা। পদ্মা দেখতে গিয়ে প্রকৃতি প্রেমিকরা দেখে ধু-ধু বালুচর। আর দূরে চরের ফাঁক-ফোকরে পানি ঝিলিক দিলে লাফিয়ে উঠে বলে ঐ দেখ পদ্মা দেখা যায়। পদ্মা এখন অপেক্ষাকৃত বেশি দৃশ্যমান বিক্রমপুর, শরিয়তপুর ও মানিকগঞ্জের সীমারেখায়। বর্ষা ছাড়া বাকি সময় এসব অঞ্চলে অসংখ্য ডুবো আর দৃশ্যমান চরের ফাঁকে ফাঁকে পদ্মা বয়ে চলে। তবে বর্ষাকালে পাড় ভেঙ্গে লোকালয় আর ফসলি জমি গ্রাস করে পদ্মা নিজের যৌবনকালের কথা এখনো মনে করিয়ে দেয়। পদ্মার সগর্জন ফেনিল ঢেউয়ের কথা যথার্থই মনে করিয়ে দিয়ে এদেশের মানুষকে স্মৃতি ও মর্মকাতর করে দিয়েছে এবারের আওয়ামী লীগ সরকার। অনেক বেশি ঢেউয়ের দাপাদাপি হয়েছে। প্রথমে পদ্মার পাড়ে বিক্রমপুরের আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর তৈরি করতে গিয়ে, তারপরে পদ্মা সেতুর উপাখ্যান তৈরি করে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু তৈরি করতে গিয়ে একের পর এক রাজনৈতিক নাটক তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চিরকেলে রাজনৈতিক ঝগড়া থেকে রেহাই পায়নি পদ্মা সেতু প্রকল্প। প্রথম তর্কের শুরু সেতু      বাস্তবায়নের স্থান নির্বাচন নিয়ে। পাটুরিয়া ঘাট না মাওয়া ঘাট কোন অঞ্চলটি অধিক যোগ্য জায়গা হবে এ নিয়ে চললো শুরুর বিতর্ক। ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদ অঞ্চলের মানুষ চাইলো পাটুরিয়া-দৌলদিয়ার কাছাকাছি হোক এই স্বপ্নের সেতু। বেঁকে বসলো শরিয়তপুর, মাদারীপুর, খুলনার মানুষ। মাওয়ার কাছে সেতু তৈরি হলে তাদের  সুবিধা। যুক্তি হলো এখানে সেতু হলে দেশ বেশি উপকৃত হবে। চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকা থেকে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনে অনেকগুলো ঘণ্টা সাশ্রয় হবে। শেষ পর্যন্ত স্থির হলো মাওয়া পয়েন্টে হবে পদ্মা সেতু। জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে প্রাথমিক কাজও চলতে থাকলো। বিশ্বব্যাংক এবং এর সহযোগী এডিবি জাইকার সাথে ঋণ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হলো। কিন্তু বিরোধী পক্ষের প্রশ্নের মধ্যে থাকলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন নাকি চাকরি, প্রমোশন আর বদলিতে সুবিধাভোগী অগ্রসর জেলা গোপালগঞ্জের মানুষ। এ কারণে মাওয়া পয়েন্টে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলো বিরোধী পক্ষ। কিলোমিটারের হিসাব শুরু হলো পাটুরিয়া না মাওয়া কোন পথে গোপালগঞ্জ কাছে হবে।
রাজনৈতিক ঝগড়ার অংশীদার বিএনপি সকল পক্ষকে খুশি করতে বলে দিল তারা ক্ষমতায় এলে একটি নয় দুই পয়েন্টে দুটি সেতু বানাবে। পদ্মা সেতু বানানোর জ্বালাটা কি তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিশেষ করে এই দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক পরিবেশে। তাই বিএনপির দুটি সেতুর স্বপ্ন আপাতত তোলা থাকলো। কিন্তু তাইবা কেন হবে। বিশ্বব্যাংক পিছিয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশের মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে পড়েছিল। নিজ টাকায় পদ্মা সেতু বানানোর প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল সরকারি উদ্যোগে। চাঁদা তোলার ফর্মুলাও তৈরি হয়ে গেছে। অতি উত্সাহী কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে কোটি কোটি টাকার চেক তুলে দেয়ার মহড়াও দিয়েছিল। এই সুযোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিকে জাতীয়তাবোধে উদ্দীপ্ত করতে সচেষ্ট হলেন। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে পদ্মা সেতু তহবিল গঠনে উত্সাহিত করেন। প্রবাসী আওয়ামী লীগাররা লন্ডনে প্রিয় নেত্রীকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে তাদের টাকায় একটি-দুটি নয়, চারটি পদ্মা সেতু বানানো কোনো ব্যাপার নয় জানিয়ে দিলেন। এত কিছুর পরও খেই হারাতে থাকলো সরকার। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ আওয়ামী নেতারা যার যার জায়গায় দাঁড়িয়ে অনাবিল স্বাধীনতায় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে ভিন্ন ভিন্ন অভিমত প্রকাশ করতে লাগলেন। বিশ্বব্যাংক চুক্তি থেকে পিছিয়ে গেল। অভিযোগ করা হলো সেতু বাস্তবায়নের শুরুতেই দুর্নীতির গন্ধ তারা পাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-উপদেষ্টারা দুর্নীতির রূপরেখা তৈরি করেছেন। সুতরাং এসব দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য দাতাগোষ্ঠী চুক্তি বাতিল করবে। সরকার যথারীতি অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিল। শুধু তাই নয়মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উল্টো বিশ্বব্যাংককেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন। পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হবেন না বলে জানিয়ে দিলেন। যোগাযোগমন্ত্রী যোগাযোগ শুরু করলেন মালয়েশিয়ার সাথে। বিশ্বব্যাংকের চেয়েও কম সুদে টাকা পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে একটি ‘চমক’ দেখানোর ইঙ্গিত দিলেন। কিন্তু দেশবাসী বিস্মিত হয়ে দেখলো এতসব সরকারি বিপ্লবী আচরণের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের মান ভাঙানোর জন্য তদ্বির চালিয়ে যেতে থাকলো সরকারি শক্তি। আরো একটি অদ্ভুত বিষয় যুক্ত হলো। এখন যেমন সরকারের ঘোরতর অসঙ্গতির সমালোচনা করলেই বলা হয় ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার’ বানচাল করার জন্য এসব অপতত্পরতা, একইভাবে পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংকের পিছিয়ে আসাকে বলা হতে লাগলো নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের বৈরি প্রভাবের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক নামি-দামি কলাম লেখকের লেখনিতে তা প্রমাণ করারও চেষ্টা করা হলো। কিন্তু কোনো বিপ্লবী আচরণ করেও দাঁড়াতে পারছিল না সরকার। ফাঁদে পড়ে চুরি না করেও সরকার চুরির দায় স্বীকার করতে থাকলো। একে একে মানতে থাকলো বিশ্বব্যাংকের শর্ত। কিন্তু নৈতিকভাবে খুব গর্হিত মনে হলো যখন একজন সত্, দেশপ্রেমিক মন্ত্রী জনাব আবুল হোসেনকে বিশ্বব্যাংকের চাপে দুর্নীতিবাজ তকমা কপালে সেঁটে পদত্যাগ করানো হলো। এই অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের নৈতিক, প্রশাসনিক এবং পররাষ্ট্রীয় অবস্থানের দীনতা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উন্মোচিত হয়েছে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে সরকারি অবস্থানকে এখন মানুষ সন্দেহের চোখে দেখছে। এত কিছুর পরও এখন পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাওয়ার জন্য মরিয়া সরকার। বিশ্বব্যাংকের শেষ শর্ত পূরণের জন্য এখন অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের পদত্যাগের কথা উঠেছে। ড. রহমান সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেছেন কোনো ধরনের দুর্নীতির সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। দুর্নীতির দায়ে তাকে পদত্যাগ করতে হলে আত্মপক্ষ সমর্থনের দাবিও তিনি করেছেন। হিসেবমতো জাইকা এডিবির সাথে নবায়নকৃত চুক্তির মেয়াদ ৩১ আগস্টের মধ্যে শেষ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে হলে এই কয়টিদিনের মধ্যেই সংকট নিরসন করতে হবে। এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়েই এক মাস ঝুলিয়ে রাখার পর শেষ পর্যন্ত জনাব আবুল হোসেনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার গেজেট প্রকাশ করতে হলো। ড. রহমানের পদত্যাগ ছাড়া বিশ্বব্যাংককে টলানো যাবে না বিবেচনা করলে এবং অন্তিম সময়ে তেমন আশ্বাস পেলে অর্থ উপদেষ্টাকেও হয়তো ‘বলি’ হতে হবে। আত্ম অহংকারী দেশপ্রেমিক মানুষের এখানেই প্রশ্ন থাকবে দেশের সম্মান বিকিয়ে দেয়ার বিনিময়ে বিশ্বব্যাংকের ঋণে পদ্মা সেতু করা জরুরি কিনা। যদি সত্যিই সরকারের ভেতরে দুর্নীতিবাজদের অবস্থান থাকে এবং পদ্মা সেতু প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, উপদেষ্টা বা কর্মকর্তাদের দুর্নীতি চিহ্নিত হয় তাহলে ভিন্ন প্রশ্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বা সরকারযন্ত্রের জন্য গর্হিত হবে এদের রক্ষার চেষ্টা করা। কিন্তু যদি তারা সত্ ও নিরপরাধী হন তবে বিশ্বব্যাংকের অন্যায় দাবি মানার প্রয়োজনে তাদের কলঙ্কিত করা মুক্তিযুদ্ধস্নাত জাতির মাথা বিশ্ববাসীর সামনে হেঁট করে দেয়ার শামিল হবে। অন্যায় লজ্জার তিলক পরার চেয়ে বিশ্বব্যাংকের টাকায় পদ্মা সেতু না বানানো অনেক সম্মানের। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশের সামর্থ্যে পদ্মা সেতু বানানোতে আমরা মনোসংযোগ করবো না কেন? আমরা টেলিভিশনে দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে লন্ডন প্রবাসীরা চারটি সেতুর টাকা দেয়া কোনো বিষয় নয় বলে জানিয়েছেন। আপাতত না হয় তাদের কাছ থেকে একটি সেতুর টাকা এনে সেতু বানিয়ে বিশ্বব্যাংকসহ পশ্চিমা বিশ্বের থোতা মুখ ভোঁতা করে দেই না কেন! নানা নাটকীয়তার পরও বিশ্বব্যাংকের মনোরঞ্জনের জন্য ছোটাছুটি এবং একের পর এক বিশ্বব্যাংকের শর্ত মানার মধ্য দিয়ে সরকার একদিকে দুর্নীতির অভিযোগ কবুল করে নিজেদের মিথ্যে আস্ফাালনকে মেনে নিচ্ছে আর অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের অপরিহার্যতার কথাও নিশ্চিত করছে। তাহলে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিশ্বব্যাংককে এত বকাঝকা কেন? বিশ্বব্যাংককেই উল্টো অনিয়ম আর অন্যায়ের আখড়া বলার মতো মাঠ গরমের বক্তৃতা করা কেন! নাকি এসবও আমাদের রাজনীতিকদের মতো প্রচলিত ভাষ্য যে ‘...আমাদের এসব কথা আমলে নেবেন না, কারণ এসব হচ্ছে রাজনৈতিক বক্তব্য’। দেশের বোকাসোকা মানুষের মধ্যে ‘রাজনৈতিক বক্তব্য’ দেয়ার আনন্দ থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভিত্তি না থাকলে এসব কথা গৃহীত হবে না। নিজ অর্থায়নে সেতু বানানোর সামর্থ্য যদি না থাকে তাহলে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজদের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামানো হলো কেন? এতে এসব লাঠিয়াল কী পরিণতি ডেকে আনতে পারে তা কি আওয়ামী নীতিনির্ধারকদের অজানা ছিল? অমন বালখিল্যতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক তরুণের জীবন পর্যন্ত গেল। এই মৃত্যুর দায় কে নেবে?
গত ২৭ আগস্ট রাতে টেলিভিশনে মাননীয় অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের যেভাবে এড়ালেন তাতে সন্দেহ হয় সম্ভবত এত করেও বিশ্বব্যাংককে ম্যানেজ করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত যদি বিশ্বব্যাংক এগিয়ে না আসে তাহলে হয়তো এযাত্রায় ড. মশিউর রহমান টিকে গেলেন। অন্যদিকে সরকারি আফসোস থেকে যাবে আবুল হোসেনের জন্য। অবশ্য অগাধ ক্ষমতাশালী সরকার তার জন্য একটা নতুন ব্যবস্থা নিশ্চয়ই করে ফেলবে। কারণ সামনে নির্বাচন। এখন আবুল হোসেনদের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।
আমরা বিশ্বাস করি যে দলই সরকার গঠন করুক দেশের সম্মান রক্ষা ও দেশবাসীর ভাগ্যনিয়ন্তা সে দলের ক্ষমতাবানদেরই হতে হয়। ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে জনগণের দলে পরিণত না হতে পারলে এই দায়িত্ব কারো পক্ষেই পালন করা সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার গঠন করে কোনো দলই ঘোরতর দলীয় সরকার হওয়ার লোভ সামলাতে পারেনি। ক্ষমতায় নিজেদের বর্তমান অবস্থান নিষ্কণ্টক করা ও ভবিষ্যতের পথ কুসুমাস্তীর্ণ করার জন্য মূর্খ বলে বিবেচিত সাধারণ মানুষকে নানা আষাঢ়ে গল্প শুনিয়েছে। হাজার বছর ধরে উজ্জ্বল ঐতিহ্য ধারণ করা এদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের অহংকারী মানুষের গর্বিত মাথাকে বিশ্ববাসীর সামনে হেঁট করার দায় নিশ্চয়ই রাজনৈতিক কূপমণ্ডূকতায় বিবর্ণ রাজনীতিকদেরই বহন করতে হবে। আমাদের ভাগ্যনিয়ন্ত্রকদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ থাকবে, যদি আপনাদের মধ্যে দেশপ্রেমের ছিটে-ফোঁটা সামান্য অবশিষ্ট থাকে তবে দেশের জন্য ক্ষতিকর সব বেফাস কথা আর অমন নীতিনির্ধারণ থেকে বেরিয়ে আসুন। দেশের সম্মানের চেয়ে অন্য কিছু বড় নয়। আত্মমর্যাদা রক্ষা করে পদ্মা সেতু আজ তৈরি করা গেলে খুব ভালো; অভিন্ন কারণে যদি কাল করতে হয় তাতেও কিছুমাত্র আফসোস হবে না এ জাতির। আমরা প্রত্যাশা করবো এই বর্ষায় পদ্মার ঢেউ ক্ষমতাবানদের অপরিণত অমার্জিত নানা চিন্তা ভাসিয়ে নেবে।
n লেখক:অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
shahnawazju@yahoo.com